ঢাকা, ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮৫৪

 সৌদিতে ফ্যাশন বিপ্লব!

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৩৬ ৩ জানুয়ারি ২০১৯  

ফ্যাশন যেন আজকাল নেশা দ্রব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরেও এসব থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখতেন সৌদি নারীরা।  কিছুদিন ধরে সৌদিতে নারিরা অনেক কিছুতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে আগেই হাত পড়েছে তাদের। পা পড়েছে সিনেমা হলে। পেয়েছে মাঠে যেয়ে খেলা দেখার স্বাধীনতা। পরিবর্তনের সৌদি আরবে এবার আরও এক বদল আনলেন প্রিন্সেস নৌরা বিনত ফয়সাল আল-সৌদ। চলতি মাসের শুরুর দিকে সৌদিতে আয়োজন করা হয়েছিল একটি ফ্যাশন উইকের। সেটি ছিল শুধু নারীদের জন্য। সৌদি আরবের মতো রক্ষণশীল দেশে এই ধরনের কোনো অনুষ্ঠান এই প্রথম। তবে র‌্যাম্পে হেঁটেছেন মূলত বিদেশি মডেলরাই। সৌদি নারীরা ছিলেন দর্শক সারিতে। উদ্যোগের পেছনে ছিলেন সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতার প্রপৌত্রী প্রিন্সেস নৌরাই।

সৌদি আরবে নারীদের পোশাক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উৎসাহ দেয়ার বিষয়টি এর আগে কখনই সেভাবে গুরুত্ব পায়নি। কিন্তু নৌরা আরব ফ্যাশন কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট পদে আসার পর ছবিটা বদলাচ্ছে। জাপানের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন নৌরা। সেখানে থাকার সময় থেকেই ফ্যাশন দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি।

সৌদির রক্ষণশীল সমাজে নারীদের পোশাক বিধি নিয়ন্ত্রণ করে শুধু পুলিশ এবং বিচারবিভাগ। দেশটির নারীরা সাধারণত ‘আবায়া’ (পা পর্যন্ত ঢাকা গাউন জাতীয় পোশাক) পরে থাকেন। সঙ্গে মাথা এবং মুখ ঢাকা দেয়াটাই রীতি। তবে এই বদলকে রক্ষণশীলতার বিরোধিতা হিসেবে মানতে নারাজ প্রিন্সেস নৌরা।

এক সাক্ষাৎকারে নৌরা বলেছেন, একজন সৌদি নাগরিক হিসেবে আমি আমার সংস্কৃতি এবং ধর্মকে সম্মান করি। যদিও দেশের নারীরা আদৌ আবায়া পরবেন কিনা, তা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত পছন্দের উপরেই নির্ভর করবে বলে কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তার আমলেই নারীদের গাড়ি চালানোয় অনুমতি দেয়া থেকে শুরু করে সিনেমা হলে প্রবেশের অনুমতি পর্যন্ত মিলেছে। তবে নৌরার আয়োজিত ফ্যাশন উইকে শুধু নারীদেরই প্রবেশাধিকার ছিল।

 নানা মহল থেকে প্রশংসা কুড়ালেও সমালোচনাও পিছু ছাড়েনি এই উদ্যোগের। নিন্দুকেরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুললে জবাবে নৌরা বলেছেন, রক্ষণশীল হওয়ার জন্য নয়, বরং নারীরা যাতে স্বচ্ছন্দে শো-গুলো উপভোগ করতে পারেন,  এজন্যই এই ব্যবস্থা।

বিনোদন বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর