ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২০৩১

‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলা শিখেছি প্রধানমন্ত্রীর কাছে’

অনড় প্রিয়া সাহা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৩৭ ২১ জুলাই ২০১৯  

নিজের অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছেন প্রিয়া সাহা। তার বক্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চললেও ভাবলেশহীন আমেরিকা থাকা এই বাঙালি নারী।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করে আলোচিত তার বক্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।  

 

প্রিয়া সাহার দাবি, ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের নিখোঁজ হওয়ার যে ‘তথ্য’ তিনি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে দিয়েছেন, তা সরকারি পরিসংখ্যান থেকেই নেয়া। অধ্যাপক আবুল বারকাত ওই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ২০১১ সালে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, যা সে সময় গণমাধ্যমেও আসে।

 

দলিত সম্প্রদায় নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘শারি’র পরিচালক প্রিয়া সাহা বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক।

 

তিনি বলছেন, ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে অভিন্ন অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার যাতে ‘একসঙ্গে কাজ করতে পারে’ - সেজন্যই তিনি হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সহযোগিতা চেয়েছেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা তার উদ্দেশ্য ছিল না।

 

একজন সাংবাদিককে প্রিয়ার সাক্ষাৎকার দেয়ার একটি ভিডিও রোববার তার এনজিও শারির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়; সেখানেই বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজের ব্যাখ্যাগুলো তুলে ধরেন।

 

ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গেল ১৭ জুলাই হোয়াইট হাউজে যান প্রিয়া।

 

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মৌলবাদীদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নিখোঁজ (ডিজঅ্যাপিয়ার্ড) হয়েছেন।

 

প্রিয়া সাহা সেখানে বলেন, ‘প্লিজ আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। এখনও সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ আছে। আমার অনুরোধ, আমাদের সাহায্য করুন। আমরা দেশ ছাড়তে চাই না। তারা আমার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, আমার জমি কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু বিচার হয়নি।’

 

তার ওই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বিভিন্ন মহলে।

 

সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ‘ক্ষুণ্নের উদ্দেশ্যেই’ প্রিয়া সাহা ওই ধরনের ‘বানোয়াট ও কল্পিত অভিযোগ’ করেছেন। দেশে ফিরলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও ঘোষণা দেন একজন মন্ত্রী।

 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শনিবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ওই বক্তব্য দিয়ে প্রিয়া সাহা ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ’ করেছেন।

 

তবে রোববার তিনি জানান, প্রিয়া সাহার ব্যাখ্যা শোনার আগে তড়িঘড়ি কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়েছেন তিনি।

শারির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে প্রিয়া সাহা বলেন, সরকারের আদমশুমারি প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী দেশভাগের সময় বাংলাদেশের জনসংখ্যার ২৯.৭ শতাংশ ছিল ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিক। ওই হার এখন নেমে এসেছে ৯.৭ শতাংশে। এখন দেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৮০ মিলিয়ন। সংখ্যালঘু জনসংখ্যা যদি একই হারে বৃদ্ধি পেত, তাহলে অবশ্যই যে জনসংখ্যা আছে, এবং যে জনসংখ্যার কথা আমি বলেছি ক্রমাগত হারিয়ে গেছে, সেই তথ্যটা মিলে যায়।

 

প্রিয়া সাহা বলেন, সরকারের ওই পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই অধ্যাপক আবুল বারকাত ২০১১ সালে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে বলা হয়েছিল, প্রতিদিন ৬৩২ জন হিন্দু দেশ ছাড়ছেন। ২০১১ সালে আমি স্যারের সাথে সরাসরি কাজ করেছিলাম, যে কারণে আমি বিষয়টা সম্পর্কে অবহিত।

যে ভিডিওটি শারির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি ধারণ করা হয়েছে প্রিয়া সাহার দিক থেকে। সেখানে দেখা যায়, প্রিয়া সাহা একটি ফোন সামনে ধরে একজন সাংবাদিকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। তবে সেই সাংবাদিকের নাম সেখানে প্রকাশ করা হয়নি। 

 

৩৭ মিলিয়ন মানুষ ‘ডিজঅ্যাপিয়ার্ড’ বলতে প্রিয়া সাহা ঠিক কী বলতে চেয়েছেন - তা জানতে চাওয়া হয়েছিল সাক্ষাৎকারে।

 

উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হার যদি দেশভাগের সময়ের মতই ২৯.৭ % থাকত, তাহলে তাদের সংখ্যাটাও এখন বেশি হত। এখন এই যে নাই, এইটা যে ক্রমাগতভাবে কমে গেছে, সেটাই আমি বোঝাতে চেয়েছি।

 

ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা কেন এভাবে কমে গেল, তারা কোথায় গেল, তারা কোথাও চলে গেছে কি না, কেউ মেরে ফেলেছে কি না - এসব প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর প্রিয়া সাহা দেননি। 

 

কীসের ভিত্তিতে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে’ এরকম বড় অভিযোগ করলেন - এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইনি। আমার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। সেখানটায় ২০০৪ সালে প্রায় ৪০টা (হিন্দু) পরিবার ছিলল, এখন ১৩টা পরিবার আছে। এই মানুষগুলো কোথায় গেল, কোথায় আছে, তা তো আপনাদের দেখার কথা বা রাষ্ট্রের দেখার কথা। সেটা আমার কাছে জানতে চাইলে কেমন হবে?”

 

প্রিয়া সাহা কেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে বিষয়টি তুললেন - সেই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল সাক্ষাৎকারে।

 

উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এই কথাগুলো তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা। ২০০১ সালে যখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্বাচনোত্তর চরম নির্যাতন চলছিল ৯৪ দিন ধরে, আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তখন বিরোধী দলীয় নেত্রী। তিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য সারা পৃথিবীতে ঘুরেছেন। সমস্ত জায়গায় বক্তব্য দিয়েছেন। তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে, তার অনুসরণে আমি বলেছি। যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে কোনো জায়গায় বলা যায় - এটা আমি তার কাছে শিখেছি।

 

বাংলাদেশের নেতারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে কথা বলেন, তার সঙ্গে যে প্রিয়া সাহার বক্তব্য মিলছে না - সে বিষয়েও তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল সাক্ষাৎকারে।

 

উত্তরে তিনি বলেন, ২০০১ সালের পর (বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়) সারা দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যে নৃসংশতার শিকার হয়েছিল, বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তা ‘ব্যাপক হারে’ কমে এসেছে।

 

“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। আমেরিকাও মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমি এ কারণে বলেছি, মার্কিন সরকার যাতে এ বিষয়ে আমাদের সরকারের সাথে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সেজন্যই আমি এ কথাটা সেখানে বলেছি।”

 

হোয়াইট হাউজের ওই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশে যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে প্রিয়া সাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল সাক্ষাৎকারে।

 

জবাবে তিনি বলেন, “কিছু সংখ্যক মানুষ বিষয়টি ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এই কথাগুলো বলছে। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা বা মৌলবাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার যুদ্ধ করছে।

 

“আমি মনে করি, আমার সরকার আমাকে যেমন সর্বোতভাবে সহায়তা করবে, আমার পরিবারকেও সর্বোতভাবে সহায়তা করবে, কারণ সরকার যে কাজটা করছে, আমি সেই কাজটাকে শক্তিশালী করার জন্য কথাগুলো বলেছি।”

 

সরকারের কেউ কেউ আইন প্রয়োগের কথাও যে বলেছেন, সে বিষয়টি মনে করিয়ে দিলে প্রিয়া সাহা বলেন, “আমি তা মনে করি না। যখন তারা আমার কথাগুলো শুনবেন এবং দেখবেন, তখন প্রকৃত সত্যটা বুঝতে পারবেন। আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমার পাশে দাঁড়িয়ে মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন।”

 

পিরোজপুরের মেয়ে প্রিয়া সাহার স্বামী মলয় কুমার সাহা দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা। তাদের দুই মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেন।

 

তিনি বলেন, ২০০৪ সালে তার বাড়িতে আগুন দেয়া হয়, গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৩০০ একর জমির ফসল আর ১০০ ঘেরের মাছ লুটে নেওয়া হয়। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এক জামায়াত নেতার নেতৃত্বে ওই ঘটনা ঘটানো হয়।

 

ওই হামলার পর একজন মুসলমানের কাছ থেকেই প্রথম ফোনটা পেয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০ মিনিট সে ফোন করে কান্নাকাটি করেছে, বলেছে - ‘দিদি, তোমার বাড়িতে আগুন দিল, আমরা কীভাবে থাকব’।

 

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এই নেতা বলেন, হিন্দু মুসলমান কেউ কারও শত্রু না। কিছু ‘দুষ্ট লোক’ আছে, যারা ওই ঘটনাগুলো ঘটায়।

 

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল করতেই পিরোজপুরে ওই হামলা চালানো হয়েছিল দাবি করে প্রিয়া সাহা বলেন, “এরা (হামলাকারীরা) দুষ্ট লোক, তারা সব সময়ই সরকারি দল করে। প্রথম যখন আগুনটা দেয়, তখন এমপি ছিলেন দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী। এরপর তারা বিভিন্নি সময় নিজের সুবিধার জন্য বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে।”

 

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাশগুপ্ত বলেছিলেন, প্রিয়া সাহা হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের কাছে যে অভিযোগ করেছেন, তা একান্তই তার নিজস্ব বক্তব্য, সংগঠনের নয়। প্রিয়া সাহা পরিষদের প্রতিনিধি হিসেবেও ওই সম্মেলনে যাননি।

 

এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে প্রিয়া সাহা বলেন, না, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আমাকে পাঠায়নি। আমাকে সরাসরি মেইল করা হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে ফোন করা হযেছে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে আমাকে ইনভাইট করে নিয়ে আসছে এখানে। রানা দা, কাজলদা বা ঐক্য পরিষদের কেউ জানতেন না যে আমি এখানে এসেছি। আমি যে আসব তা আমি আগের দিনও জানতাম না। বলতে পারেন হঠাৎ করেই আমি আসছি।

 

হোয়াইট হাউজের ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তার পরিবার ‘ভীষণ সমস্যার মধ্যে দিয়ে’ যাচ্ছে বলে জানান প্রিয়া সাহা।

 

তিনি বলেন, “বাসার (ঢাকায়) সামনে গতকাল তালা ভাঙতে চেষ্টা করা হয়েছে। বাসার সামনে মিছিল করা হয়েছে। এর চাইতে বড় ব্যাপার হল, আমার পরিবারের ছবি ছেপে দেওয়া হইছে পত্রিকায়। (হোয়াইট হাউজে)কথা বলেছি আমি, তারা আমার ছবি দিতে পারত। কিন্তু আমার পরিবারের ছবি পত্রিকায় দিয়ে সবার জীবনকে বিপণ্ন করে তোলা হইছে।

 

আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার আশায় ‘দেশের বিরুদ্ধে’ ওই বক্তব্য দিয়েছেন - এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রিয়া সাহা।

 

এর আগেও বহুবার যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য কি আমেরিকার রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করতে হয়? আমি বক্তব্যে বলেছি, আমি দেশে থাকতে চাই। ওটাই আমার প্রথম কথা, ওটাই আমার শেষ কথা।”

 

দেশে ফিরবেন কি না - এমন প্রশ্নে প্রিয়া সাহা বলেন, “অবশ্যই। কেন ফিরব না? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য এবং অবহেলিত নিপীড়িত মানুষের সঙ্গে থেকে তাদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আমি আমৃত্যু কাজ করে যাব, এটাই আমার লক্ষ্য।”

সাক্ষাৎকার বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর