ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১ আশ্বিন ১৪৩১
good-food
১১০

অপুকে ‘ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা’ বললেন বুবলী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৩:২৪ ৪ জুলাই ২০২৪  

ঈদ মৌসুমের সিনেমা উন্মাদনায় ভাটা পড়তেই জোয়ার এসেছে অপু-বুবলীর বাকবিতন্ডায়। ফের বাজতে চলেছে এই দুই নায়িকার মধ্যে যুদ্ধের দামামা। এবার শুরুটা করেছেন অপু। শাকিবকে ঘিরে বীরের মা যাই বলছেন তাই নিয়ে চলছে জয়ের মায়ের কটাক্ষ। এতদিন চুপ থাকলেও এবার সরব হলেন। অপুকে ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা বললেন বুবলী।

 

অপু মনে করেন শাকিবের নাম নিতে নিতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন বুবলী। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বুবলী বলেন, যে মহিলা (অপু) এসব বলছে সে কে? যিনি ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মত সবসময় আমাদের মাঝখানে তিড়িং বিড়িং করে। নিজের মত বানানো নানান মিথ্যা রচনা বলে সারাক্ষণ। সবচেয়ে হাস্যকর কথা হল-উনি তার নিঃশ্বাসের থেকেও বুবলী নামটা বেশি নেয়। তার সব জায়গায় শুধু বুবলী বুবলী। উনি ভাইরাল হওয়ার জন্য এমন কিছু নেই যা করছেন না। বুবলী নাম নিতে নিতে এমনই মানসিক রোগী হয়ে গিয়েছেন।

 

সেটা আড্ডা, সহকর্মী, টেলিভিশন, ইউটিউব, যেখানেই হোক তার মুখে শুধু বুবলী আর বুবলী। কোথাও গেলে তাদের শিখিয়ে দেয় আমার নাম নিয়ে প্রশ্ন করতে যেনো উনি একটু ভাইরাল হয়। আমি আর আমার ছেলে এখন তার একমাত্র ক্যারিয়ার আলোচনায় থাকার। এমনকি জাতীয় টেলিভিশন পর্দায় কী সব উদাহরণ দিচ্ছে যার কোনও মানেই নেই! তার সঙ্গে কি কি নোংরা আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করছে, যেটা খুব লজ্জাজনক। সব সময় তার মুখে দুর্গন্ধজনক শব্দগুলো থাকে তার কারণ তার ভেতর টাও এরকম।

 

অপুকে হুশিয়ারি দিয়ে বুবলী বলেন, সে ভেবেছে সবসময় আমাকে আর আমার ছেলেকে নিয়ে মিথ্যাচার করবে আর আমি বরাবরের মতোই চুপ থাকব, কখনোই না। কারণ, তাকে নিয়ে কথা বলার কখনোই আমার রুচি হয়না কিন্তু যখন দেখছি সে তার নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আদাজল খেয়ে নেমেছে শেহজাদকে তার বাবার থেকে আলাদা করার জন্য তখন আমি চুপ থাকবো না। এসব নিয়ে সে সারাক্ষণ বাজে গেম প্ল্যান করে বলেই তার মুখে এই গেম প্ল্যান কথাটা এসেছে।

 

প্রসঙ্গত, শাকিব খানের প্রাক্তন স্ত্রী অপু বিশ্বাস। ২০১৮ সালে তাদের বিচ্ছেদের পর বুবলীকে বিয়ে করেন নায়ক। তবে বুবলীর সঙ্গেও বেশিদিন সংসার করা হয়নি। বর্তমানে আলাদা থাকছেন এই জুটি।

 

বুবলী-অপু বিশ্বাস দুজনকেই নিজের জীবনের অতীত বলে মন্তব্য করেছেন শাকিব খান। তবে বুবলীর দাবি, এখনও তাদের মাঝে বিচ্ছেদ হয়নি। সন্তানের কথা চিন্তা করেই সেটা করেননি।