ঢাকা, ২২ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩২১

আসছে ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট, ১০ বড় চ্যালেঞ্জ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৩:৫৬ ৮ এপ্রিল ২০২৪  

ব্যয় সংকোচন নীতিতে ভর করে আসছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট। যেখানে প্রাথমিকভাবে আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। এই বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, মুদ্রানীতির সফল বাস্তবায়নসহ ১০টি খাতকে মোটা দাগে চাপ হিসেবে নিয়েছে সরকার। যা বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেও দেখছেন বিশ্লেষকরা।

 

লম্বা সময় ধরেই অস্বস্তি আর অনিশ্চয়তার দোলাচলে অর্থনীতি। প্রায় দুই বছরের চড়া মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভের অব্যাহত ক্ষয়, বৈদেশিক বাণিজ্যে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়া এবং রাজস্ব আদায়ে ধীর গতি থামিয়ে দিচ্ছে পুনরুদ্ধারের পথও। তবু আগামীর নতুন স্বপ্ন আর সমৃদ্ধি রচনায় প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রণয়নের ব্যস্ততায় অর্থ বিভাগ। যেখানে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে পৌনে ৭ শতাংশ।

 

তথ্য অনুযায়ী, আসছে অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের চেয়ে যা বাড়ছে মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ। অথচ মূল্যস্ফীতি আর প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সমন্বয় করলেও তা বড় হওয়ার কথা ছিল অন্তত ১৫ শতাংশ। এর মানে এবারের মূল্য লক্ষ্যই হচ্ছে ব্যয় সংকোচন।

 

অর্থ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, একটি আদর্শ পরিস্থিতিতে অন্তত জিডিপির ২৫ শতাংশ বাজেট হওয়া উচিত। সেদিক থেকে দেখলে যে বাজেট হতে যাচ্ছে, সেটা তুলনামূলক কম। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যেটা ঘোষণা করা হবে, সেটা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অতীতেও এমনটাই দেখা গেছে।

 

বাজেটে পৌনে ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে এনবিআরকে। তবুও ঘাটতি থাকছে আড়াই লাখ কোটি। যেটা মেটাতে দেড় লাখ কোটির ওপরে ঋণ নেয়া হবে অভ্যন্তরীণউৎস থেকে। অবশ্য খুব বেশি বাড়ছে না বিদেশ থেকে ধার-দেনার লক্ষ্যমাত্রা। তবে ব্যয়ের ক্ষেত্রে সুদ পরিশোধ ১ লাখ ৮ হাজার কোটি ছাড়ালেও খুব বেশি বাড়ানো হচ্ছে না উন্নয়ন ব্যয়। যা সীমাবদ্ধ থাকছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটিতে।

 

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা বলেন, আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। এক্ষেত্রে আবার একেকটা মন্ত্রণালয়, খাতের বাস্তবায়ন ভিন্ন। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নেও দুর্বলতা থাকে। বছর শেষে সেটা নিম্নমুখী সংশোধন করা হয়। অর্থাৎ যে বরাদ্দ হয়, তা খরচ করতে পারছি না।

 

নতুন অর্থবছরে ১০টি খাতকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে সরকার। যেখানে সবচেয়ে কঠিন কাজই হবে মূল্যস্ফীতিকে সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা।