ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার, ২০২৫ || ৩ মাঘ ১৪৩১
good-food
১১

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হামাস

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৩:০৬ ১৬ জানুয়ারি ২০২৫  

প্রায় ১৫ মাসের বিধ্বংসী যুদ্ধের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং দখলদার ইসরায়েল। উভয়পক্ষই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। 

 

এতে বলা হয়, ইসরায়েলি সরকার বা হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় প্রস্তুত করা খসড়াটি তাদের পক্ষ থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

 

তিন পর্যায়ের পরিকল্পনার বিস্তারিত এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির প্রথম ছয় সপ্তাহের মধ্যে হামাসের হাতে আটক থাকা ৩৩ বন্দিকে নিয়মিত বিরতিতে ইসরায়েলের জেলে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে মুক্তি দেয়া হবে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেয়া হবে।

 

দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা দুই সপ্তাহ পর শুরু হবে। তাতে বাকি বন্দিদের মুক্তি, ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয় থাকবে। তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ে গাজার পুনর্গঠন করা হবে, যা কয়েক বছর সময় নিতে পারে। যেসব বন্দির মরদেহ অবশিষ্ট রয়েছে, সেগুলো ফেরত দেয়া হবে।

 

এর আগে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, হামাসের সম্মতি পাওয়ার পরই চুক্তিটি বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে এটি কার্যকর হবে।  প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দিনই প্রথম দফায় বন্দিদের মুক্তির মাধ্যমে চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার কথা।

 

এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, হামাস গাজার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। শিগগিরই চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে।  এই সংবাদ এমন এক সময়ে এলো, যখন গাজা অঞ্চলে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। সেই সঙ্গে সেখানে মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। 

 

উপত্যকাটিতে অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এতে গত ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। যদিও ল্যানসেট জানিয়েছে, এই সংখ্যা ৪০ শতাংশ কম।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর