ঢাকা, ১৮ অক্টোবর শুক্রবার, ২০২৪ || ৩ কার্তিক ১৪৩১
good-food
১৩৯

ইসলামি ধারার ৬ ব্যাংকের চলতি হিসাবে ব্যাপক ঘাটতি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:২৩ ১ জুলাই ২০২৪  

দেশে ইসলামি ধারার ১০ ব্যাংকের মধ্যে ছয় ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। এসব ব্যাংকে জমা আমানতের বিপরীতে ঋণ বিতরণ বা বিনিয়োগ বেড়েছে। ফলে চলতি হিসাবে ঘাটতি আরো ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, বিশেষ বিবেচনায় এসব ব্যাংককে জামানত ছাড়াই টাকা ধার দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি লেনদেন হিসাব চালু রেখেছে। ফলে নতুন ঋণ দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে ব্যাংকগুলো।

 

প্রতিবেদন অনুযায়ী,  গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ইসলামি ধারার ১০ ব্যাংকে আমানত ছিল ৪ লাখ ৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। গত মার্চে যা কমে দাঁড়ায় ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৩ মাসে তা কমেছে ৪ হাজার ৩০১ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ বেড়েছে ১০ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা।  মার্চে যা বেড়ে হয় ৪ লাখ ২৫ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা।

 

ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর ঋণ ও আমানতের অনুপাত (এডিআর) ৯২ শতাংশ। গত মার্চে তা বেড়ে হয়েছে ৯৯ শতাংশ।  গত ডিসেম্বরে যা ছিল ৯৬ শতাংশ। এতে এসব ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য ৫ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬০৫ কোটি টাকা। তারল্য হ্রাস পেয়েছে ৫ হাজার ৪৩ কোটি টাকা।

 

২০২৩ সালের শেষ কার্যদিবসে পাঁচ ইসলামিসহ মোট ৭ ব্যাংককে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ধার দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে উদ্বৃত্ত তারল্যের উন্নতি হয়। 

 

শাহজালাল ও এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা বলেন, ইসলামি ধারার ৫ ব্যাংকে সংকট চলছে। তবু  আগ্রাসী ঋণ বিতরণ করছে তারা। গ্রাহকের আমানতের টাকা না থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেয়া ধারের টাকায়  ঋণ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো।  তাতে ইসলামি ধারার ব্যাংকের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে।  তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেন আল-আরাফাহ্ ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা।

 

দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধিবদ্ধ নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ তারল্য (এসএলআর) সংরক্ষণ করতে পারছে না ব্যাংকগুলো । কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সংরক্ষিত চলতি হিসাবেও বিপুল ঘাটতি নিয়ে চলছে তারা।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত মে পর্যন্ত ওই ৫ ব্যাংকে চলতি হিসাবে ঘাটতি ছিল ১৬ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৮ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা, ইসলামী ব্যাংকের ২ হাজার ১২৭ কোটি টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৩ হাজার ৮৯ কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংকের ২ হাজার ৬১ কোটি টাকা এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ২২৭ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল।