ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৭৫৩

ঈদে চলবে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৫৩ ১৫ মে ২০১৯  

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন রুটে জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচলা করবে। অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২২ মে শুরু হয়ে চলবে ২৬ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হবে।

বুধবার রাজধানীর রেলভবনে ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রস্তুতির বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এ কথা জানান।

তিনি বলেন, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বা জুন দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। তবে আগামী জুন ঈদ ধরে রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।

নূরুল ইসলাম সুজন জানান, আগামী ২২ মে দেয়া হবে ৩১ মে টিকিট, ২৩ মে দেয়া হবে জুনের, ২৪ মে দেয়া হবে জুনের, ২৫ মে দেয়া হবে জুনের এবং ২৬ মে দেয়া হবে জুনের টিকিট।

রেলের ফিরতি টিকিট বিক্রি ২৯ মে শুরু হয়ে জুন পর্যন্ত চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২৯ মে দেয়া হবে জুনের, ৩০ মে দেয়া হবে জুনের, ৩১ মে দেয়া হবে জুনের, জুন দেয়া হবে ১০ জুনের এবং জুন দেয়া হবে ১১ জুনের টিকিট।

এছাড়া অ্যাপসের মাধ্যমে ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে। তবে স্পেশাল ট্রেনের কোনো সীট মোবাইল অ্যাপে পাওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করেন রেলপথমন্ত্রী।

নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন রুটে জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে। ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে এক জোড়া, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে দুই জোড়া, মৈত্রী রেক দিয়ে স্পেশাল হিসেবে চলবে খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে।

এছাড়া ঢাকা-ঈশ্বরদী-ঢাকা রুট একটি, লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে একটি, শোলাকিয়া স্পেশাল- ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে ঈদের দিন, শোলাকিয়া স্পেশাল- ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে ওই দিন স্পেশাল ট্রেন চলবে।

তিনি বলেন, ঈদের পাঁচদিন আগে ৩১ মে থেকে রেলওয়েতে ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ফলে ৪৮টি বিশেষ ট্রিপ পরিচালিত হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৫ মে ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস চালু করা হবে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনটির উদ্বোধন করবেন।

টিকিট কালোবাজারী প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা, ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খূলনাসহ সব বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি স্থানীয় পুলিশ এবং র‌্যাবের সহযোগিতায় টিকেট কালোবাজারী প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা থাকবে।

নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, কালোবাজারি রুখতে ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেখিয়ে একজন সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। ঈদের আগে পরে মালবাহী ট্রেন বন্ধ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক রোলিং স্টক মো. শাসছুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।