ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৫৬

উত্তরের বাতাস বাড়িয়েছে শীত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:০৫ ৪ জানুয়ারি ২০২৩  

দিনভর কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ, সঙ্গে উত্তরী হাওয়ার বেগ, পৌষের শেষার্ধে রাজধানীতে কনকনে হাওয়ায় নাগরিক জীবন টের পাচ্ছে শীতের তীব্রতা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে না।অথচ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হাঁড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে।

 

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ১৯ পৌষের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যান্য স্থানের মধ্যে ঢাকায় সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুরে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রামে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনায় ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বরিশালে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

 

বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।

 

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, এদিন কোথাও শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে দিনের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকার পাশাপাশি উত্তরী হাওয়ায় রাজধানীসহ অনেক এলাকায় কনকনে শীতের অনুভূত হচ্ছে। আরও কয়েকদিন এমন আবহাওয়া থাকবে। কয়েক জায়গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যাবে।

 

শীতের তীব্রতার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, কুয়াশার চাদরে সূর্যের দেখা না মেলায় দিনভর তাপমাত্রা কম থাকে। এতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধানও কমে আসে। এসময় হালকা বাতাস থাকায় রাতের চেয়ে দিনে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

 

চলতি মৌসুমে শীতের আমেজ তুলনামূলক কম ছিল। ডিসেম্বরে লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যানদাউস’র প্রভাব এবং কিছুদিন আগে হালকা বৃষ্টির কারণে শীত ঝেঁকে বসতেও সময় নিয়েছে। দুয়েকদিনের জন্য মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হলেও তা দীর্ঘায়িত হয়নি।

 

এবারের শীতে ২৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল। তবে পৌষের মাঝামাঝি এসে কুয়াশা ও শীতের দাপট বেড়েছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে ঢাকায় গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে।

 

জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসের বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওম ফারুক বলেন, চলতি মাসে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এরমধ্যে একটি মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। এছাড়া উত্তর, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

 

ঘন কুয়াশা কখনও কখনও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।