ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩২০

উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্তরা কী করবেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:০৯ ২৮ জুলাই ২০২০  

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সম্পর্কে নিত্যনতুন নানা হাড় হিম করা তথ্য জানাচ্ছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভয়ানক ভাইরাস নাকি ৪৯ দিন পর্যন্ত মানুষের শরীরে লুকিয়ে বাস করতে পারে। তবে সংক্রামক রোগ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কভিড ১৯-এর সংক্রমণ হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, তা নয়। অল্পবিস্তর উপসর্গ থাকলে বাড়িতে আলাদা থেকে চিকিৎসা করা উচিত। এর ফলে যাদের হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা করা একান্ত দরকার, তাদের চিকিৎসাসেবা সহজ হবে।

ভারতের কার্শিয়াং এস ডি হাসপাতালের চিকিৎসক ত্রিবর্ণা সিনহা চক্রবর্তী জানালেন, কভিড-১৯ সংক্রমণ হলে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে অত্যন্ত মৃদু উপসর্গ থাকে। তার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার হয় না। ১৫ শতাংশ রোগীর উপসর্গ বেশি মাত্রায় হয় এবং শ্বাসকষ্ট থাকায় তাদের অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। মাত্র ৫ শতাংশ রোগীর অবস্থা সংকটজনক হয় বলে তাদের ভেন্টিলেটর দিয়ে চিকিৎসা করা দরকার হয়।

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত অসুখ অন্যান্য ভাইরাল জ্বরের মতোই। যেহেতু এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো ওষুধের খোঁজ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, তাই উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা করা হয়।

বাড়ির কোনো সদস্য করোনায় আক্রান্ত হলে অন্যদের টেস্ট করিয়ে পজিটিভ এলে এবং বিশেষ কোনো উপসর্গ না থাকলে অর্থাৎ অ্যাসিম্পটোম্যাটিক হলে তাদের হাসপাতালে আসার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে রোগীর বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি হলে এবং অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থাকলে অথবা ক্রনিক কিডনির অসুখ কিংবা হার্টের সমস্যা থাকলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত।

কার বেশি বা কম উপসর্গ দেখা দেবে তা আগে থেকে বোঝা মুশকিল। ৫-১৪ দিনের মধ্যে কারো কারো হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।