ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬৮৫

ঋতু পরিবর্তনে জেঁকে বসে জ্বর-সর্দি-কাশি, কী করবেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৩৪ ২২ অক্টোবর ২০১৯  

দিনের দৈর্ঘ্য কমছে। ভোরের দিকে শীত শীত লাগছে। হেমন্তের শুরু থেকেই সিলিং ফ্যানের গতি ফুলস্পিড থেকে কমের দিকে। এসময় সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর জেঁকে বসে। ছোট-বড় সবাই এসময়টায় ভোগেন। এসব অসুখের জন্য ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দায়ী। এ আবহাওয়ায় তাপমাত্রা কমে যায় বলে কিছু ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে।

এসব থেকে বাঁচতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ দরকার। কারণ, আপনার ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়েছে নাকি ভাইরাসের আক্রমণ, সেটা চিকিৎসকরাই বলতে পারবেন। দুটির চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা। এছাড়া কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলতে হবে। পরিবারের লোকজনকে সচেতন করতে হবে। তাহলেই ঋতু পরিবর্তনের সময় জীবাণু আপনাকে কাবু করতে পারবে না।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে ঋতু পরিবর্তনের ধাক্কাটা ছোটদের সবচেয়ে বেশি লাগে। শিশুর সর্দি-জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ দেবেন না। অনেক অভিভাবকই পুরনো প্রেসক্রিপশন দেখে শিশুকে ওষুধ খাইয়ে দেন। ভুলেও এরকম করবেন না। 

চিকিৎসকরা বলতে পারবেন, ঠিক কী কারণে শরীর খারাপ হয়েছে। সেজন্য কী চিকিৎসা দরকার। আপনার দেয়া ওষুধে রোগের সাময়িক উপশম হয়তো হতে পারে। কিন্তু সেটার সঙ্গে শিশুর অন্য ক্ষতিও হতে পারে।

সর্দি, কাশি ছাড়া ডেঙ্গুর প্রকোপে এখনো মানুষ আতঙ্কিত। শুধু বর্ষা নয়, অক্টোবর-নভেম্বরেও আবহাওয়া বদলের সময় ডেঙ্গু হতে পারে। বাংলাদেশে এবার অনেক মানুষ মারা গেছে ডেঙ্গুজ্বরে। সুতরাং সন্তানকে সাবধানে রাখা ছাড়া উপায় নেই। শিশুদের বেশি করে তরল খাবার দিন। এসময় শিশুদের খুব একটা ডায়রিয়া দেখা যায় না। তবে সাবধানের শেষ নেই। তেমন কিছু হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।

হালকা জ্বর বা গায়ে ব্যথা হলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। ১০০’র উপরে জ্বর হলেই প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। এই তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই। অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ইনফেকশন নাকি ব্যাকটিরিয়াল অ্যাটাক, সেটা বুঝে চিকিৎসক ওষুধ দেবেন। আমাদের শরীরে অনেক ভালো ব্যাকটেরিয়াও রয়েছে। ভুল অ্যান্টিবায়োটিকে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রতিকারের উপায়

শরীরে প্রচুর পানি প্রয়োজন। শরীর ডিহাইড্রেটেড হলেই গায়ে ব্যথা, মাথাধরা শুরু হয়। সুস্থ-অসুস্থ সবাইকেই বেশি করে পানি পান করতে হবে। ঠান্ডাতেও শরীর ডিহাইড্রেটেড হতে পারে। প্রয়োজনে স্যালাইন খান। রাতের দিকে একটু ঠান্ডা হাওয়া বয়। ছোটদের বেশি পাতলা জামা পরাবেন না। গলাব্যথা থাকলে পাতলা স্কার্ফ জড়াতে পারেন।

ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাবেন না। এসময় একবার ঠাণ্ডা লাগে তো একবার গরম। গলা ব্যথা হলে একটু গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করতে পারেন। এছাড়া গরম পানীয় খান আর রাতে ঘুমানোর সময় গলা ঢেকে রাখুন। সিলিং ফ্যানের গতি আর এয়ার কন্ডিশনারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

নিয়মিত ব্যায়াম অনেক রোগব্যাধি দূরে সরিয়ে রাখে। প্রতিদিনি সকালে হালকা কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ কিন্তু আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। রাস্তায় বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরে নিন। না হলে সর্দি-কাশি সারবে না।