ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৪০৪

এখন কি নারিকেল তেল খাওয়া শুরু করবেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:৪৮ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০  

চুলের পুষ্টির জন্য মূলত আমরা নারিকেল তেল ব্যবহার করি। তবে আজকাল অনেকে একে ভোজ্যতেলের বিকল্প বলছেন। অবশ্য দক্ষিণ ভারতীয়রা নারিকেল তেলেই সারেন সব রান্না। সেখানে শত বছর ধরে এ প্রথা চালু আছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বাস্তবে এটি কতটা স্বাস্থ্যকর?
বাজারে সহজলভ্য নারিকেল তেল সাধারণত চুল কিংবা রূপচর্চার কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে এক ধরনের তেল বিক্রি হয়। সেটি ঘানি ভাঙা নারিকেল তেল। এটি খাবার ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার করছেন অনেকে। কেউ দাবি করছেন, এ তেলে থাকা স্নেহজাতীয় উপাদান স্বাস্থ্যকর। এটি নিয়মিত খেলে বহু উপকার পাওয়া যায়।
যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে স্নেহজাতীয় খাবার হওয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দৈনিক খাবারের তালিকায় নারিকেল তেল না রাখাই শ্রেয়।
তবে অনেকেই এটি খেয়ে উপকার পাচ্ছেন। তাই রান্নায় এ তেল খাওয়ার দিকে ঝুঁকছেন। এর ভক্তের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। তারা যেসব উপকারের কথা বলছেন-   
ওজন কমায়
নারিকেল তেলে আছে লরিক অ্যাসিড নামের বিশেষ ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড, যা খুবই স্বাস্থ্যকর। এটি খেলে খুব দ্রুত ওজন কমে।
হজমে সহায়তা করে
নারিকেল তেল খেলে সহজে খাবার হজম হয়। পেট ফাঁপাসহ নানা সমস্যার প্রতিকার হয়।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরকে লড়তে সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
ত্বকের যত্নে নানা ধরনের প্রসাধনী-যেমন সাবান, লোশন, ক্রিমে ব্যবহার করা হয় নারিকেল তেল। সেদিক থেকে চামড়ায়িএটি লাগানো যেতে পারে। এতে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
উচ্চ তাপে রান্না করা যায়
উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলেও নারিকেল তেল কখনও পুড়ে না। এছাড়া এটি খাবারের নানা বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
অলিভ অয়েল ও মাছের তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে দারুণ কার্যকরী। ইদানিং এক্ষেত্রে নারিকেল তেলের কথাও বলা হচ্ছে।
দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি
দাঁতের সুরক্ষায় ক্যালকিউমিন নামক উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি যাতে সঠিকভাবে শরীর দ্বারা শোষিত হয়, সেই কাজটি করে নারিকেল তেল। ফলে সেটি খেলে দাঁতের কোনো ক্ষতি বা মাড়ি ক্ষয় হয় না।
লিভার-হার্ট-কিডনির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
নারিকেলে তেলে রয়েছে ব্যাপক হারে মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইড ও ফ্যাটি অ্যাসিড। এসব উপাদান লিভার ও কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়া হার্ট ভালো থাকে।