ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৬০৮

কচুশাকের কত গুণ?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২৮ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

সবুজ শাকসবজি বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এর মধ্যে একটি হলো কচুশাক। প্রায় সব ভোজনরসিকের কাছেই এটি পরিচিত খাবার। সর্বজনস্বীকৃত এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, বি, সি এবং ক্যালসিয়াম, আয়রনসহ অন্যান্য পুষ্টিগুণ। প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের যোগান ছাড়া কচুশাক বিভিন্ন রোগের পথ্য হিসেবেও ভূমিকা রেখে আসছে।


পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ থাকায় পরিপাকতন্ত্রের প্রক্রিয়া ভালো রাখে এটি। কচুশাক ছাড়া এর মাটির নিচের অংশটিতেও রয়েছে স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ উপাদান। এটি অনেকভাবে রান্না করা যায়। তবে বিশেষ করে ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে তা বেশ সুস্বাদু। চিংড়ি দিয়েও বেশ জমে যাবে। 


নিরামিষ পদের ক্ষেত্রেও বাঙালি রসনায় পিছিয়ে নেই এ শাক। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রোগ প্রতিরোধে এর জুড়ি নেই। এটি অনন্য স্বাদের কারণে পাকোড়া তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক স্বাস্থ্যের জন্য কচুশাকের উপকারিতা কতটা...


হার্ট সুস্থ রাখে
শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোতে রক্ত পাম্প করে হার্ট। কিন্তু এতে যখন চর্বি জমে যায়, তখন ধমনীগুলো ব্লক হয়। ফলে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এটি এড়াতে কচুশাক খুব উপকারী। এতে নাইট্রেট রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।


হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণ করে
উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন-এমন লোকদের ডায়েটে কচুশাক রাখা উচিত। এতে ফ্যাট থাকে না এবং সোডিয়ামের পরিমাণও খুব কম থাকে। নিয়মিত আরবি পাতা খেলে হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

 

দৃষ্টিশক্তি বাড়ে
কচুশাকে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি পাওয়া যায়। এতে পাওয়া বিটা ক্যারোটিন চোখের জন্য খুব উপকারী। আরবিকা পাতা খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। ভিটামিন এ আরবি পাতায়ও পাওয়া যায়, যা চোখের জন্য উপকারী।


ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কচুশাক উপকারী। লাইফস্টাইলের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন এটি খাওয়া দরকার। এতে প্রতিরোধী স্টার্চ রয়েছে, যা সহজে দেহে শোষিত হয় না।


ওজন কমায়
স্থূলত্ব একটি সাধারণ সমস্যা। বেশি তৈলাক্ত খাবার গ্রহণের ফলে শরীরে ফ্যাট জমে থাকে। কচু পাতায় খুব কম ক্যালোরি পাওয়া যায়। এতে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। বিভিন্ন গুণাবলী সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে আরবি পাতা শরীরের অনেক ব্যধি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। এটি কেবল রক্তে শর্করাই নিয়ন্ত্রণ করে না, দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়।