ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩১৩

করোনার জিনোম সিকোয়েন্স উদঘাটন করলো বাংলাদেশ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:২৭ ১৩ মে ২০২০  

করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স উদঘাটন করেছে বাংলাদেশ। ফলে ভাইরাসটির গতি-প্রকৃতি নির্ণয় করতে পারবেন গবেষকরা। এ ভাইরাস মোকাবিলায় কোন ধরনের ওষুধ বা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে তাও জানা যাবে।

 

চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়েছে। তারাই সর্বপ্রথম এ জিনোম সিকোয়েন্স উদঘাটন করেছে।

 

চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা মঙ্গলবার (১২ মে) গণমাধ্যমকে জানান, জিনোম সিকোয়েন্স ভাইরাসটির গতি, প্রকৃতি ও ধরণ সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা দেবে। এর ফলে আমরা জানতে পারব আমাদের এখানে ভাইরাসটি মোকাবেলায় কোন ধরনের ভ্যাকসিন বা ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।

 

এর আগে, করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের গুরুত্ব সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করোনাভাইরাস রেসপন্স টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত মোটাদাগে নভেল করোনাভাইরাসের ৩টি ধরনের কথা জানা গেছে। 

 

বাংলাদেশে কোন ধরনটি প্রভাব বিস্তার করছে বা মিউটেশনের মাধ্যমে নতুন কোনো ধরন সৃষ্টি হয়েছে কিনা সেটি জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিয়ে আমরা ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করছি।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিরিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব গণমাধ্যমকে বলেন, একটি ভাইরাস কতটুকু শক্তিশালী, তার সংক্রমণ ক্ষমতা কতটুকু জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে এ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, ভাইরাসটি কোনো ভৌগলিক পরিবেশে নতুন কোনো বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছে কিনা সে সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে এর মাধ্যমে।

 

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার (১২ মে) পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩২ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪২ লাখেরও বেশি মানুষের শরীরে।

 

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪৮৭ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৪ লাখ ৪১ হাজার ১২১ জন। এদের মধ্যে ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ১৮৫ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৪৬ হাজার ৯৩৬ জনের অবস্থা গুরুতর।