ঢাকা, ৩০ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ১৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৯১

করোনায় মৃত্যু ৪ লাখ ছাড়াল

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৩২ ৭ জুন ২০২০  

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শুরু হয় মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। এর পর ১১ জানুয়ারি চীনে প্রথম কোনো ব্যক্তি মারা যান। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এ প্রাণঘাতি ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ৪ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। 
প্রথমে চীনে করোনার উৎপত্তি ঘটে। এরপর তাণ্ডব চালায় ইউরোপে। তবে এখন ভাইরাসটির সংক্রমণের কেন্দ্র দক্ষিণ এশিয়া ও আমেরিকা।
শুরু থেকেই মারণ এ রোগে মৃত্যু ও আক্রান্তের হিসাব দিয়ে আসছে ওয়ার্ল্ডওমিটার। তাদের সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এখন ৪ লাখ ৭৮ জন। ভাইরাসটি এখন পর্যন্ত ৬৯ লাখ ২০ হাজার মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্বের প্রায় সব দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে মানবঘাতি এ ভাইরাসের সংক্রমণ। এতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। আর ১ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় মার্কিন মুলুকের ধারেকাছে নেই কোনো দেশ।
তবে আশার খবর, নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৩৪ লাখ। এছাড়া বাংলাদেশ ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। প্রতিবেশি দেশে কোভিড-১৯ শনাক্ত রোগী প্রায় আড়াই লাখ। আর এদেশে ৬৩ হাজারের বেশি।
সর্বনাশা করোনায় শনাক্ত মানুষের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পর রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। সেখানে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত সাড়ে ৬ লাখের বেশি। মৃত্যু ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। 
করোনায় আক্রান্ত রোগীতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। আর ৪০ হাজারের বেশি মৃত্যু নিয়ে তাদের পরে আছে যুক্তরাজ্য।
প্রতিবেশী ভারতের করোনা সংক্রমণ গত কয়েকদিনে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। প্রতিদিন আগের দিনের আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড ভাঙছে। আক্রান্ত হিসেবে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫৪ জন; যা বিশ্বে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ। সংক্রমিতদের মধ্যে ৬ হাজার ৯৪৬ জন মারা গেছেন।
এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৬৩৫ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৩ হাজার ২৬ জনে। তাদের মধ্যে গেল একদিনে মারা গেছেন আরও ৩৫ জন। ফলে করোনায় মোট প্রাণহানি ঘটেছে ৮৪৬ জনের।
সর্বগ্রাসী এ ভাইরাসে এখনও কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। তবে বিশ্বের অনেক দেশ মহামারি ইবোলার ওষুধ রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ১২৫টিরও বেশি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। এর মধ্যে ১০টি মানবদেহে প্রয়োগ হয়েছে। সবচেয়ে এগিয়ে আছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর