ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪৭৮

করোনা প্রতিরোধক তৈরি করছে বাংলাদেশের ৫ প্রতিষ্ঠান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১০:১৮ ৭ এপ্রিল ২০২০  

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতিরোধক তৈরিতে কাজ করছে বাংলাদেশের পাঁচ ওষুধ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে - এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস।

 

ঔষধ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় যেসব ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেসব ওষুধই তৈরি করছে দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর দেশীয় কোম্পানিগুলোকে বেশ কয়েকটি ওষুধ তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল গাইডলাইন ফর কভিড-১৯ বেশ কিছু ওষুধ তাদের নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

 

ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রস্তুত করেছি। অতিসত্বর আমরা ফ্যাভিপিরাভির, ওসেল্টামিভির ও ইভারমেকটিন প্রস্তুত করতে যাচ্ছি। আমরা চাই, উন্নত বিশ্বে যেসব ওষুধ কভিড-১৯-এর চিকিৎসায় কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হবে, তার সব কটি এ দেশের মানুষের জন্য এসকেএফ প্রস্তুত করবে।’

 

এদিকে গত রবিবার ফ্যাভিপিরাভির বাজারে ছাড়ার পর বিকন ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ এবাদুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কার্যকারিতা পাওয়া গেলে ওষুধটির বাণিজ্যিক উৎপাদন করা যাবে। ওষুধটি মূলত ইবোলা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য জাপানের ফুজি তৈরি করেছিল। পরে চীন করোনা ঠেকাতে এটি প্রয়োগ করে সুফল পায়। তাই আমরা চীন থেকে অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) এনেছি।’

 

বেক্সিমকো ফার্মার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রাব্বুর রেজা জানান, বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন ওষুধ পরীক্ষা করছে। বেক্সিমকো ফার্মাও রেমডেসিভির বাদে সবগুলোই তৈরি করে মজুদ করছে, যাতে যে কোনো একটি কার্যকর প্রমাণিত হলে এবং অনুমোদন দেওয়া হলে সরকারকে সরবরাহ করা যায়।