ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২০২

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গৃহীত ব্যবস্থা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৩৪ ৫ মার্চ ২০২০  

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা আগামী ৯ মার্চের মধ্যে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন। সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর তারা এ নির্দেশনা দিলেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে- এ মর্মে প্রকাশিত সংবাদ আদালতের নজরে আনা হয়। আদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে তিনটি মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এগুলো হলো- এক. স্থলবন্দর, নৌবন্দর, বিমানবন্দর, বিশেষ করে বিমানবন্দরে যখন বিদেশিরা বাংলাদেশে আগমন করছেন, তখন অভ্যন্তরে প্রবেশের পূর্বে তাদের কি ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে, যারা পরীক্ষা করছেন তারা প্রশিক্ষিত কি না এবং যে যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে, সেগুলোর সক্ষমতা রয়েছে কি-না তা জানাতে বলেছেন।
দুই. সারা বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা ভাইরাসের জন্য পৃথক কেবিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রাক-প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও করোনা ভাইরাসের জন্য প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সব ধরনের ব্যবস্থা (পৃথক কেবিনসহ চিকিৎসকের সরঞ্জাম) গ্রহণ করতে হবে। 
তিন. প্রত্যেকটি হাসপাতালে বা বন্দরগুলোতে যেখানে শনাক্তের জন্য করোনা ভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজন হবে, সেখানে সরঞ্জামগুলো পর্যাপ্ত রয়েছে কি না, যদি না থাকে জরুরি ভিত্তিতে আমদানি করার জন্য সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছেন। ৯ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে জানাতে হবে। এ বিষয়ে কেউ যেন ভীতি সঞ্চার না করে সেই বিষয়ে সচেতনতার জন্য জোর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানান ডেপুটি এটর্নি জেনারেল।
ইতোমধ্যে চীনের উহান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে বিশ্বের ৮৪ দেশ ও অঞ্চলে। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ৩ হাজার ২৮৫ জনের। এর মধ্যে চীনে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১২ জনের। আর দেশটির যে শহর থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে, সেখানে প্রাণ গেছে ২ হাজার ৩০৫ জনের। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর