ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৮৬

কর্তন ছাড়াই সেন্সর ছাড়পত্র পেলো ‘রোহিঙ্গা’

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:২৩ ৬ নভেম্বর ২০২১  

ইস্যুভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণে অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের জুড়ি মেলা ভার। সম্প্রতি তার ‘রোহিঙ্গা’ ছবি কর্তন ছাড়াই সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। সেখানে প্রদর্শনীর পর ডায়মণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন বোর্ড সদস্যরা। একটি আন্তর্জাতিক ইস্যুকে অত্যন্ত সহজ ও সাবলীলভাবে পর্দায় তুলে ধরেছেন তিনি।

 

সেন্সরে দেয়ার আগে ছবিটির তিনটি দৃশ্য প্রকাশ্যে এসেছে। প্রতিটি দৃশ্যই ছিল মনোমুগ্ধকর। প্রথমে দেখা যায়, বিশ্ববাসীর উদ্দেশে ডায়মন্ড রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া নিয়ে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে খোলা চিঠি লিখছেন। তিনি শুরুতেই খোলসা করে দেন, তার দৃষ্টিকোণ থেকেই ইতিহাসকে ভিত্তি করে রোহিঙ্গাদের নানা ধরনের ভোগান্তির ঘটনাবলি বর্ণনা করে চলেছেন।

 

ছবি শুরুর ধারাভাষ্যেও তার ইঙ্গিত রয়েছে। মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সুচি শান্তিতে নোবেল পাওয়ার সময় কারাগারে ছিলেন। কারামুক্ত হওয়ার পর তাকে নরওয়েতে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সেখানে তিনি গণতন্ত্র ও শান্তির কথা বলেন।

 

রাখাইন রাজ্যে চলছে বর্মীদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জাতিগত দাঙ্গা। এরপর ২০১৭ সালে চূড়ান্তভাবে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালাতে শুরু করে। তাদের সীমান্ত এলাকার দিকে ধাবিত হতে বাধ্য করে। গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রোহিঙ্গারা নাফ নদী পার হয়ে আশ্রয়ের জন্য ছুটে আসে বাংলাদেশে।

 

এছাড়া যে দেশে সম্ভব আশ্রয়ের জন্য ছুটে গেছেন রোহিঙ্গারা। ছবিতে সন্নিবেশিত দাঙ্গার দৃশ্যে দেখা যায়, জীবনরক্ষার জন্য ছুটোছুটি করা একজনকে রাখাইনের পুলিশ সদস্য গুলি করেন। আহত লোকটি লুটিয়ে পড়েন মাটির ওপর। দূর থেকে পলায়মান তার ছেলেটি আহত বাবাকে কাঁধে নিয়ে ছুটে চলে নিরিবিলি জঙ্গলের দিকে।

 

তাদের পেছনে ছুটে চলেন একজন বিদেশি সাংবাদিক। তিনি দাঙ্গার ভিডিও ধারণ করেন। ওই সাংবাদিক রোহিঙ্গা নির্যাতনের এই দৃশ্যসহ নানা লোমহর্ষক ঘটনাবলী বিশ্বব্যাপী প্রচার করেন।তাতে তুলে ধরা হয় অকাতরে মানুষের জীবন হরণের বাস্তবচিত্র। এসব ঘটনাবলী দেখতে দেখতে যে কারো মনে হতে পারে, তিনি গণহত্যার বধ্যভূমি রাখাইন রাজ্য পরিভ্রমণ করে চলেছেন।

বিনোদন বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর