ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৮৬

কর্মসংস্থানে ৫৫ হাজার কোটি টাকার কর্মসূচি গ্রহণ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:১১ ১১ জুন ২০২০  

দেশের কর্মক্ষম শ্রমশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতির গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম.মুস্তফা কামাল এ কথা জানান। 

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সারাদেশে শিল্প কলকারখানা বন্ধ থাকায় বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম ও দক্ষ কর্মী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই সরকার কর্মহীনতা দূরীকরণে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে এসব বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়নে এ বরাদ্দ দিয়েছে। 

এর মধ্যে তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের বেতন ভাতা বাবদ ৫ হাজার কোটি টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা, কুটির শিল্পসহ এসএমই প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার দুটি আলাদা স্বল্প সূদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সুবিধা চালু করার কথা জানানো হয়েছে। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (ইডিএফ)’র পরিমাণ ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি করে ৫ বিলিয়ন করা হয়েছে। এছাড়া প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফিন্যান্স স্কিম নামে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন ঋণ সুবিধা চালু করা হয়েছে। সরকার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র মাধ্যমে ২ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করে দেশের প্রশিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে। এ লক্ষ্যে সরকার দেশের ১৫ লাখ কর্মক্ষম মানুষকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।

আ.হ.ম.মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ১২৮টি উপজেলায় ২ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৭জনকে প্রশিক্ষণ ও ২ লাখ ২৭ হাজার ৪০২জনকে অস্থায়ী কর্মসংস্থান করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ৩৫০ কোটি ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া দক্ষ শ্রম শক্তি সৃষ্টিতে ৪৯৮টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ১১১টি প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৫ লাখ মানুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এছাড়া শ্রমিকদের সার্বিক সুরক্ষায় আইন প্রণয়নসহ বিভিন্ন কল্যাণকর কর্মসূচি চলমান থাকবে।