ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার, ২০২৫ || ৪ মাঘ ১৪৩১
good-food
৪২৩

কাউন্সিলর পদ হারালেন ইরফান সেলিম

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৪৫ ২৭ অক্টোবর ২০২০  

কাউন্সিলর পদ হারালেন সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম। সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় কারাগারে যাওয়ার পর এই পদ হারালেন তিনি।

 

ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপেরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে মঙ্গলবার রাতে আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

 

ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় আইন অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনে বলা হয়েছে, কোনো জনপ্রতিনিধি সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি বরখাস্ত হবেন।

 

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের পর গেল সোমবার হাজী সেলিমের বাড়ি তল্লাশি করে মদ ও ওয়াকিটকি পায় র‌্যাব। পরে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ইরফানকে ১ বছর কারাদণ্ড দেন।

 

এদিন সকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে ইরফানেরদণ্ডিত হওয়ার বিষয়ে রিপোর্ট পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।

 

এরপর স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগটি আমাদের নথিভুক্ত করা হয়েছে। আমরা প্রসেস করছি। সম্ভবত আইন অনুযায়ী তাকে আজকেই সাময়িকভাবে বরখাস্ত করব। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর ওকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 

আদেশে বলা হয়েছে, ইরফানের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা এবং তার স্ত্রীর ওপর হামলার অভিযোগে ফৌজদারি মামলা হয়েছে। বিদেশি মদ সেবন করার দায়ে তাকে ১ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাস দণ্ডিত হয়ে কারাগারে আছেন তিনি।  অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারের দায়ে ৬ মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলছে।

 

এতে বলা হয়, ইরফানের ওই কর্মকাণ্ড স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ এবং অসদাচরণের শামিল। তাই তাকে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

 

গেল ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন ইরফান। তবে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন তিনি। 

 

হাজী সেলিম ওই এলাকায়ই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। তিনিও একবার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে এমপি হয়েছিলেন।

 

ইরফানের শ্বশুর একরামুল করিম চৌধুরীও নোয়াখালী সদর আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। 

 

উল্লেখ্য, ইরফান বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের পরিচালকদের অন্যতম।

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর