ঢাকা, ২৯ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৯১

কৃষকদের কাঁধ থেকে গুলি করছে বিরোধীরা: মোদি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:০৪ ১৫ ডিসেম্বর ২০২০  

সময় যত গড়াচ্ছে ভারতে কৃষক আন্দোলন তত তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। এজন্য বিরোধীদের (কংগ্রেস) দোষারোপ করছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

 

তিনি বলছেন, চাষিদের বিভ্রান্ত করছে বিরোধীরা। তাদের কাঁধে বন্দুক রেখে গুলি করছে তারা।

 

মঙ্গলবার গুজরাটের কুচে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন মোদি। তিনি বলেন, এসব সংস্কার বিরোধিরাও চেয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা তা করেনি। কারণ, জনগণের কল্যাণ চায়নি ওরা।

 

গেল ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতে নতুন তিন কৃষি সংস্কার বিল পাস হয়। এর একটির অধীনে ন্যায্যমূল্যে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কেনা বন্ধ করে দিতে পারবে সরকার। ফলে পাইকারি বাজারে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের। 

 

তাদের মতে, এ নিয়ে ছড়ি ঘোরাবে বণিক শ্রেণি। এরপরই তা বাতিলের দাবিতে ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলন শুরু করেন তারা। কৃষকদের স্লোগানে এখন মুখরিত দেশটির রাজধানী। 

 

তবে ভিন্ন সুর মোদির কণ্ঠে। শুরু থেকেই তিনি বলে আসছেন, নতুন আইনের ফলে কৃষকরা বাজারের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারবেন। চাষাবাদে খরচ কমবে। প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারবেন। কৃষিক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগের দরজা খুলবে। এতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।

 

এদিন উদহারণ দিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজরাটে কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাণিজ্য সমৃদ্ধ হয়েছে। কারণ, এখানে সরকারের সংশ্লিষ্টতা কম। নতুন তিন আইনেও ভূমিকা কম থাকবে। এতে ক্ষতির কিছু দেখি না।

 

বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে টানা ২০ দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন ভারতের কৃষকরা। তবে তাতেও টনক নড়ছে না মোদি সরকারের। এখন পর্যন্ত দু’পক্ষের মধ্যে ষষ্ঠ দফা বৈঠক হয়েছে। তবে সমস্যার সুরাহা হয়নি। এ বিদ্রোহে এরই মধ্যে তিনজন মারা গেছেন।

 

প্রায় ১২ লাখ কৃষক এ আন্দোলন করছেন। মূলত তারা দিল্লিকে নিশানা করেছেন। শিগগির তাদের সঙ্গে আরও কয়েক লাখ খেটে খাওয়া মানুষ যোগ দিচ্ছেন। সামনে বিদ্রোহ আর জোরালো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

 

বিক্ষোভকারীরা হুশিয়ারি করেছেন, সরকার আইন বাতিল না করলে দেশজুড়ে রেল রোকো ও টোল প্লাজা অবরোধ জারি থাকবে। যতদিন কেন্দ্রীয় সরকার দাবি-দাওয়া মেনে না নেবেন; ততদিন প্রতিবাদ করে যাবেন। কয়েকদিন আগে ভারত বনধের ডাক দেন তারা। 

 

পরে অনশন আন্দোলন করেন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলানো মানুষগুলো। ভারতীয় সমাজে যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সেটার। ফলে এই প্রতিবাদ সরকারের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর