ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬৮০

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে দেয়া হবে ৩ হাজার কোটি টাকা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:২০ ২১ মে ২০১৯  

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ধান কাটা ও লাগানোসহ কৃষিকাজে শ্রমিক পাওয়া এখন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর একমাত্র সমাধান কৃষি যান্ত্রিকীকরণ। আমরা ইতিমধ্যে এটি শুরু করেছি। অচিরেই শতভাগ সম্পন্ন করবো। কৃষিতে ৯ হাজার কোটি টাকা প্রতিবছর ভর্তূকি থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করা হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে সার সুপারিশমালা হাতবই-২০১৮ এর মোড়ক উন্মোচন এবং দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. রাজ্জাক বলেন, মিলারদের আমরা জরুরী ভিত্তিতে ধান কেনার জন্য বলেছি। সরকার ১২ লাখ টন ধান ও ২ লাখ টন চাল দ্রুত কিনবে। আমাদের ৩ কোটি ৫০ লাখ টন চাল উৎপাদনের বিপরীতে ১০-১২ লাখ টন কিনলে বাজারে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। তবে সীমিত পর্যায়ে রপ্তানিরও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে সব সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথা বলেছে। কিন্তু কেউ পারেনি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন ও আধুনিক কৃষির মাধ্যমে। যে নেত্রী খাদ্যঘাটতির দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত করতে পারেন, তিনি কৃষকদের মুখে হাসি ফুটাতেও পারবেন। কৃষকদের কল্যাণে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, সারের ব্যবহার অনেক কৃষক পরিমিতভাবে করেন না। অনেক সময় বেশি, আবার অনেক সময় কম ব্যবহার করে থাকেন। এজন্য সচেতনতা দরকার এবং কৃষকদের প্রশিক্ষিত করা দরকার। কৃষির সবক্ষেত্রে আমরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখন সারাবছর ধরে ফসল হচ্ছে। এ ফসল উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য সার সুপারিশমালা হাতবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিএআরসি’র চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান এমপি ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সার সুপারিশমালা হাতবই-২০১৮ এর ওপর বিস্তারিত উপস্থাপনা দেন সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. শেখ মো. বখতিয়ার।