ঢাকা, ২৭ নভেম্বর বুধবার, ২০২৪ || ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৫০

কেউ অমন প্রস্তাব দিলে সপাটে চড় কষাতে ভয় নেই নায়িকা মুমতাজের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১০:২০ ২৫ অক্টোবর ২০১৯  

সিনেমাপাড়ায় যৌন হেনস্থার বিষয়ে একের পর এক মুখ খুলছেন অভিনেত্রীরা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বলিউডের আরেক নায়িকা মুমতাজ সরকার।

 

টলিউড ও বলিউডে কাজ করতে গিয়ে নানা রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন বলে সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে জানান তিনি।

 

মুমতাজ বলেন,  বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক প্রতিভা রয়েছে। কিন্তু মুম্বাইয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই কম পারিশ্রমিকে রাজি হচ্ছেন, এতে নিজের তো বটেই সঙ্গে অন্যদেরও ক্ষতি করছেন।

তার মানে কি পারিশ্রমিক মনের মতো হয়নি বলেই বলিউডে আরও দুটো ছবির সুযোগ ছাড়তে হয়েছিল?

 

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, কারণটা অন্য। একটা ছবির চুক্তিপত্রে পরিষ্কার লেখা ছিল, আমাকে ওই ছবিতে কাজ করতে হলে ‘কম্প্রোমাইজ করতে হবে। আমি বলে নয়, কোনও বিগ স্টার কাজ করলেও কম্প্রোমাইজ করতে হবে।

 

শৌচাগার তৈরি সম্পর্কিত সামাজিক বার্তা দেয়া সেই ছবিটি ছাড়ার কোনও দুঃখ নেই তার।

 

 ‘পরের একটা ছবির চুক্তিপত্রে সোজাসুজি এ রকম লেখা না থাকলেও, সুন্দর করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল আমাকে কম্প্রোমাইজ করতে হবে’ - যোগ করেন তিনি।

 

শোনা গেছে,  ‘শালা খড়ুসছবিতে আর মাধবনের সঙ্গে আপনার কাজের অভিজ্ঞতাও নাকি ভাল-মন্দ মিশিয়ে ছিল?

 

এ বিষয়ে অভিনেত্রী হাসতে হাসতে বললেন, মাধবন অসাধারণ অভিনেতা। তার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও অসাধারণ। কিন্তু কাজের বাইরে সেই মানুষের অনেক পরত থাকে। সেগুলো তার সম্পর্কে না হয় সিক্রেটই থাকুক। কারণ তিনি আমার সঙ্গে কিছু করার সাহস পাননি। কায়দা করে এড়িয়ে গিয়েছি।

 

২০১০-এ বিরসা দাশগুপ্তের ‘০৩৩দিয়ে মুমতাজের ক্যারিয়ার শুরু। তারপরে  ‘ভূতের ভবিষ্য ‘, ‘আশ্চর্য প্রদীপ,  ‘মেঘে ঢাকা তারা,  ‘রক্তকরবী,  ‘ডাকের সাজ ছবিতে কাজ করলেও খুব মসৃণভাবে এগোয়নি মুমতাজের ক্যারিয়ার। সেটা কি কম্প্রোমাইজ না করার জন্য?

 

জবাবে তিনি বলেন, আমার কাছে  ‘অ্যাডজাস্ট শব্দটা অস্বস্তিকর। কম্প্রোমাইজ করলে আজ হয়তো অনেক বেশি লাইমলাইট পেতাম। তবে তা নিয়ে আক্ষেপ নেই।

 

একটু থেমে আবার যোগ করলেন,  টলিউডে কয়েকজন পরিচালক আছেন, তারা প্রথমে বন্ধু হন। তারপর অবশ্য আকার-ইঙ্গিতে উদ্দেশ্য বুঝিয়ে দেন।

 

তবে এখন সরাসরি কেউ এমন প্রস্তাব দিলে, সপাটে চড় কষাতেও তার ভয় নেই।

“এ জন্য চার বছর বসে থাকতেও রাজি। আর ঘন ঘন ফোন করে তেল লাগাতে পারি না প্রযোজক-পরিচালকদের,” -  সোজাসাপ্টা কথা মুমতাজের।

বিনোদন বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর