ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৮৩

কেন খাবেন কাঁচকলার তরকারি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:৩৯ ১৫ জুন ২০২৩  

আমাদের আশপাশে প্রকৃতি অত্যন্ত উপকারী কিছু সবজির ডালি সাজিয়ে দিয়েছে। এই সব সবজি নিয়মিত খেলেই রোগবালাই কাছে ঘেঁষার সাহস পায় না। আর এই উপকারী সবজির তালিকায় কিন্তু প্রথমের দিকেই নাম আসে কাঁচকলার।কাঁচকলার রয়েছে একাধিক গুণ। এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবারের ভাণ্ডার। এমনকী বিভিন্ন ধরনের উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও মজুত রয়েছে এই কলায়। তাই প্রায়শই এই কলা খেলে একাধিক ক্রনিক অসুখ পিছু ছাড়ানো সম্ভব।

 

তবে মুশকিল হল, এই কাঁচকলার তরকারি পছন্দ করেন না। আর এই কারণেই একটি অত্যন্ত উপকারী সবজির পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হন তারা। তবে কাঁচকলার একাধিক গুণ সম্পর্কে অনেকেই নিয়মিত এই সবজি খাওয়া শুরু করতে পারেন। আর তাতে হাতেনাতে পাবেন উপকার। কাঁচকলার এমন কিছুগুণের কথা তুলে ধরা হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদনে। 

 

প্রেশার থাকে নিয়ন্ত্রণে​

ব্লাড প্রেশারের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর প্রতিদিনের ডায়েটে কাঁচকলা থাকা দরকার। এতে রয়েছে পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। আর এই খনিজ রক্তনালীকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। ফলে ব্লাড প্রেশার কমে। তাই রক্তচাপ বেশি থাকলে অবশ্যই এই সবজি নিয়মিত পাতে রাখার চেষ্টা করুন।

 

তবে শুধু ব্লাডপ্রেশারই নয়, হার্টের খেয়াল রাখার কাজেও অত্যন্ত কার্যকরী কাঁচকলা। এতে উপস্থিত উপকারী উপাদান হার্টের রক্তনালীতে প্লাক বা নোংরা জমতে দেয় না। ফলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

 

সুগার কমাতেও সিদ্ধহস্ত

ব্লাড সুগার অসুখটিকে সঠিক সময়ে বাগে না আনতে পারলে একাধিক অঙ্গের ক্ষতি হয়। তাই যেভাবেই হোক সুগার কমাতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কাঁচকলা। এই কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। ফলে দেহে ইনসুলিন রেজিস্টেন্স কমে। তাই সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে নিয়মিত কাঁচকলা খেতে ভুলবেন না যেন।

 

বিপাকের হার বৃদ্ধি করে

হাই প্রেশার, কোলেস্টেরল, ইউরিক অ্যাসিড ও ডায়াবিটিসের মতো অসুখগুলির মধ্যে একটা বিষয়ের মিল রয়েছে। আর তা হল, এই সকল অসুখগুলোই বিপাকীয় সমস্যা। এক্ষেত্রে মেটাবলিজমের রেটের তারতম্যের জন্যই এই ধরনের সমস্যা পিছু নেয়। তবে কাঁচকলায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬। এই দুই ভিটামিন কিন্তু একত্রে মিলে বিপাকের হারকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে বেঁধে রাখে। এই কারণে সহজেই একাধিক ক্রনিক অসুখের ফাঁদ এড়ানো যায়।


ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ফেরায়

কাঁচকলা কিন্তু শরীরে ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ফেরাতে পারে। আসলে এতে রয়েছে খনিজের ভাণ্ডার। এই সকল খনিজগুলোই দেহে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য ফেরায়। প্রসঙ্গত, অত্যধিক গরমে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায় ইলেকট্রোলাইটস। ফলে হিট স্ট্রোক ও হিট এক্সহউশনের মতো সমস্যায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই এই সমস্যা প্রতিরোধ করতে চাইলে আগেভাগেই কাঁচকলার তরকারি খাওয়া চালু করে দিন।

 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সিদ্ধহস্ত। আর ইমিউনিটি তুঙ্গে থাকলে হেলায় হারানো যায় ছোট-বড় সব ধরনের জটিল সংক্রামক অসুখকে। জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যাও আর সহজে কাহিল করতে পারবে না। তাই নিয়মিত কাঁচকলার পদ পাতে রাখার চেষ্টা করুন। এর মাধ্যমেই সুস্থ থাকতে পারবেন।