ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৪৮

কোমরব্যথায় ভুগছেন, কি করবেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৩৬ ২ আগস্ট ২০২১  

নিয়ম মেনে জীবনযাপন করার পরও দীর্ঘদিন কোমরব্যথায় ভুগছেন অনেকে। কোমরে ব্যথা কারও কারও ক্ষেত্রে তিন মাস বা তার বেশি সময় পর্যন্ত থাকে, এমনকি বছরের পর বছরও! দীর্ঘ সময় ধরে থাকা ব্যথাকে ক্রনিক ব্যথা বলা হয়। শুরু থেকে সঠিক চিকিৎসা নিলে সাধারণত দু-এক দিন বা সপ্তাহখানেকের মধ্যে ব্যথা ঠিক হয়ে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরামর্শ না মানার কারণে প্রাথমিক কোমরব্যথা ধীরে ধীরে দীর্ঘদিনের কোমরব্যথায় ­পরিণত হয়।

 

কেন হয় কোমরে ব্যথা 
কেন কোমরে ব্যথা হয়, সে জন্য  কোমরের গঠন সম্পর্কে জানা জরুরি। আমাদের মেরুদণ্ড মোট ২৪টি ভার্টিব্রাল দিয়ে গঠিত। প্রতিটি ভার্টিব্রাল একে অপরের সঙ্গে ইন্টার ভার্টিব্রাল ডিস্ক দিয়ে সংযুক্ত থাকে। লিগামেন্ট ও মাংসপেশি দিয়ে পুরো মেরুদণ্ড এমনভাবে গঠিত হয়, যাতে মেরুদণ্ড সহজেই নড়াচড়া করতে পারে।

 

যেমন, আমরা যখন ঝুঁকে কোনো কাজ করি বা পেছনের দিকে কোমর বাঁকিয়ে নিই, তখন কোমরের লিগামেন্ট ও মাংসপেশি কাজ করে। যদি কোনো কারণে মাংসপেশি দুর্বল হয় বা স্পাজম হয়ে শক্ত হয়ে যায় বা মাংসপেশি বা লিগামেন্ট অসামঞ্জস্য হয়, তখনই মূলত কোমরে ব্যথা হয়।

 

কী করা প্রয়োজন
সাধারণত কোমরব্যথার চিকিৎসাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

  • ব্যায়াম
  • রিল্যাক্সেশন
  • ওষুধ

 

ব্যায়াম সবচেয়ে কার্যকর। কখনো কখনো এটাই একমাত্র জরুরি চিকিৎসাপদ্ধতি। তবে কোন ধরনের ব্যায়াম করা উচিত, তা একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শে করা প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা যেকোনো ব্যথাকে বাড়িয়ে দেয়।

 

ব্যায়াম

  • প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর ধীরে ধীরে সামনের দিকে হাতে চাপ দিয়ে ঘাড়সহ শরীরের ওপরের অংশ তুলতে চেষ্টা করুন। ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করে আবার শুয়ে পড়ুন। এভাবে একবারে ১০ বার করে করতে থাকুন।
  • সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কোমরে হাত দিয়ে পেছনের দিকে যাওয়া এবং কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে পুনরায় সোজা অবস্থায় আসা। এভাবে ১০ বার প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করুন।

 

রিল্যাক্সেশন

  • কোনো একটি রিল্যাক্স পজিশনে থেকে মেডিটেশন করতে পারেন।
  • সব সময়ই ইতিবাচক চিন্তা করুন। কারণ গবেষণা বলছে, ইতিবাচক চিন্তা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • কোমর বাঁকাতে হয় বা বেশি চাপ পড়ে এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন মেরুদণ্ডের হাড়ের ওপরে চাপ সৃষ্টি করে ব্যথা বাড়িয়ে দেয়।