ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৭৪

ক্যানসার রোগীরা যা যা খাবেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৫০ ৫ জুন ২০২১  

করোনার চোখ রাঙানিতে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ। কিন্তু এর মাঝেও ভুলে গেলে চলবে না এইডস, যক্ষ্মা বা ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের কথা। বিশেষ করে এই করোনা পরিস্থিতিতে তাদের প্রয়োজন বিশেষ নজরদারির। ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের শরীরের ইমিউনিটি কম থাকে। তাদের প্রতিদিনের ডায়েটে বিশেষ নজরদারির দরকার।


এখন পর্যন্ত কর্কট রোগকে পুরোপুরি বাগে আনা যায়নি। তাই ক্যানসার শুনলেই আমাদের মাথায় বাজ পড়ে। অথচ কয়েকটা খুব স্বাভাবিক খাবার নিয়মিত খেলে সহজেই লড়াই করা যেতে পারে এই মারণব্যাধির সঙ্গে। এই বিষয়ে নিউট্রিশনিস্ট এবং হলিস্টিক হেলথ্ কোচ ক্যামেলিয়া দাস কিছু বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন।


সাধারণত বেশির ভাগ সময়ই দেখা গেছে লো ফাইবার ডায়েট, রেড মিট, অ্যালকোহল, হাই ক্যালোরি খাবারের থেকে ক্যানসার বৃদ্ধি পায়। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে টাটকা ফল এবং মাছ রাখা প্রয়োজন। অ্যালকোহল, রেড মিট, সফট ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।

 

দৈনন্দিন ডায়েটের বিষয় নিউট্রিশনিস্ট এবং হলিস্টিক হেলথ্ কোচ ক্যামেলিয়া বলেছেন, ক্যানসারের ডায়েট আর পাঁচটা রোগের ডায়েটের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।


খেতে হবে হালকা খাবার
যারা কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন নেন, তাদের হজমশক্তি কমে যায়। তাদের জন্য খুব হালকা খাবার দিতে হয়, যাতে তারা সহজে হজম করতে পারে। 


প্রতিদিনের ডায়েটে ওভারকুকড খাবার খেতে হবে। যেমন- সিদ্ধ চালের ভাত, সবজি। যাতে সহজেই হজম হয়ে যায়। এই সময় ননভেজ খাবার না খাওয়াই ভালো। আমিষ জাতীয় খাবার হজম করতে সমস্যা হতে পারে। তবে মাঝে মাঝে ডিম দেওয়া যেতে পারে।


রোগীর হজমশক্তি বাড়লে মাঝে মধ্যে মাছ দেওয়া যেতে পারে। যদি সে হজম করতে পারে তো তার ডায়েটে নিয়মিত মাছ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু হজমের সমস্যা হলে তা ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে।


আটা বা ময়দা নয়
ক্যানসার রোগীকে আটা বা ময়দার তৈরি কোনো খাবার দেওয়া চলবে না। আটা বা ময়দাতে গ্লুটন থাকে, যার ফলে রোগীর হজমশক্তিকে নষ্ট করে দেয়। তাই আটাময়দার খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।


ফল উপকারী
আঙুর ক্যানসারের জন্য খুবই উপকারী। রেসভেরাট্রল নামক প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস হলো আঙুর। শরীরে এই রোগের জন্ম থেকে ছড়িয়ে পড়া, প্রতিটা ধাপেই রোগকে বাধা দেয় আঙুর।


কিউই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি এবং ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে সক্ষম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ ছাড়াও এই ফলে থাকা ফোলেট, ক্যারোটেনয়েডস এবং ভিটামিন-সি শরীরে ক্যানসারের প্রভাব কমিয়ে দেয় এবং শরীরকে রক্ষা করে। 


ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরি ও স্ট্রবেরি খাওয়া শুরু করুন নিয়মিত। কারণ এগুলো পিটেরোস্টিলবেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ক্যানসার প্রতিরোধী হিসেবে সুপরিচিত।


আপেল সিদ্ধ করে কিংবা জুস করেও দেওয়া যেতে পারে।
উল্লেখ্য, যাদের HBA1C বা গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন বেশি আছে, তাদের খুব বেশি মিষ্টি জাতীয় ফল না খাওয়াই ভালো।


খেতে হবে সবুজ শাকসবজি
পালংশাক, লেটুস, হেলেঞ্চা শাকের মতো বহু দেশীয় সবুজ শাকপাতা ক্যানসার-সহ বহু রোগের ক্ষেত্রে উপকারী। এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। তা ছাড়া এতে আছে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এনজাইম। 


অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে এ কথা অনেকেই জানে। এ ছাড়াও রয়েছে গ্লুকোসাইনোলেটস, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান এবং সঙ্গে আছে নিষ্ক্রিয় কার্সিনোজেনস। 

 

এই নিষ্ক্রিয় কার্সিনোজেনস টিউমার সৃষ্টি রোধ করে, ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করে এবং ক্যানসার স্থানান্তরণে বাধা দান করে। কাজেই প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকপাতা থাকা অবশ্যই দরকার।


ডায়েটে থাকুক মাশরুমও
মাশরুম হলো উচ্চ পুষ্টিসম্পন্ন দারুণ একটি খাদ্য উপাদান। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় ও ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।