ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪৪২

খালি পেটে কিশমিশ খেলেই ম্যাজিক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:২৬ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০  

স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুণ উপকারি কিশমিশ। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এটি।  বিশেষ করে রাতভর ভিজিয়ে সকালে খেলে জাদুকরী উপকার পাওয়া যায়। 

 

এতে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর হয়। রক্তে লালকণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। 

 

ক্লান্ত শরীর চাঙ্গা করে হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে কিশমিশ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার। এসব উপাদান দেহের জন্য দারুণ কার্যকরী।

 

পানিতে ভেজানো কিশমিশ শরীরের যেসব উপকার করে-

 

# উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক উপাদান কিশমিশ। এতে থাকা পটাসিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার বশে রাখে। 

 

# রক্ত স্বল্পতা কমাতে যথেষ্ট উপকারি কিশমিশ। এর মধ্যে বিদ্যমান আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়া এতে আছে তামা যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।

 

# সুস্থ থাকতে ভালো হজমশক্তি জরুরি। এক্ষেত্রে কিশমিশ অনস্বীকার্য। প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস পানিতে তা ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেই কিশমিশ খান। ১৫ দিন পর তফাত খেয়াল করুন। দেহে জাদুকরী পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

 

# এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভেজা কিশমিশ এবং সেই পানি নিয়মিত খেলে দেহে ম্যাজিক্যাল পরিবর্তন আসবে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়।

 

# শরীর বর্জ্যমুক্ত রাখতে রোজ কিশমিশ খেতে হবে। সকালে খালি পেটে ভেজানো কিশমিশ খেলে শরীর বিষমুক্ত হয়। পাশাপাশি কিশমিশ ভেজানো পানিও খেতে পারেন।

 

# নিয়মিত কিশমিশ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। এজন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিশমিশ খেতে হবে। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান তারা ওষুধের বদলে নিয়মিত কিশমিশ খেতে পারেন।

 

# কিশমিশে থাকা বোরন মস্তিষ্কের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। এ উপাদান মনোযোগ বৃদ্ধি, চোখের সঙ্গে হাতের সামঞ্জস্য বাড়ানো এবং স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে। হাড় গঠনেও সহায়তা করে এটি।

 

# নিয়মিত কিশমিশ খেলে বৃদ্ধ বয়সে দৃষ্টিহীন হওয়ার সম্ভবনা কমে। পাশাপাশি কিশমিশে থাকা পলিফেনল উপাদান ক্ষতিকারক ফ্রি-রেডিকেলস ধ্বংস করে চোখকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।