ঢাকা, ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫৯৪

‘গণতন্ত্র সূচকে’ ৪ ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৩৩ ৯ জানুয়ারি ২০১৯  

বাংলাদেশে গণতন্ত্র ‘কারারুদ্ধ’ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিরোধী দল। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ‘গণতন্ত্র সূচক’। বাংলাদেশের অবস্থানের চার ধাপ উন্নতি হয়েছে। পাঁচটি মানদণ্ডে ২০১৮ সালের পরিস্থিতি বিচার করে সংস্থাটি এ তথ্য দিয়েছে।

৫.৫৭ স্কোর নিয়ে এই সূচকে ৮৮তম অবস্থানে বাংলাদেশ। মোট ১৬৫টি দেশ ও দুটি অঞ্চলের মধ্যে এ স্থানে রয়েছে দেশ। গতবছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫.৪৩; এক ধাক্কায় আট ধাপ পিছিয়ে নেমে গিয়েছিল ৯২তম অবস্থানে।

এবারের সূচক বলছে, গণতন্ত্রের বিচারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ভারত ৭.২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ৪১তম এবং শ্রীলঙ্কা ৬.১৯ স্কোর নিয়ে ৭১তম অবস্থানে রয়েছে। ভারতের এক ধাপ উন্নতি হলেও শ্রীলঙ্কা পিছিয়েছে নয় ধাপ।

এছাড়া ৫.৩০ স্কোর নিয়ে ভুটান ৯৪তম; ৫.১৮ স্কোর নিয়ে নেপাল ৯৭তম; ৪.১৭ স্কোর নিয়ে পাকিস্তান ১১২তম; ৩.৮৩ স্কোর নিয়ে মিয়ানমার ১১৮তম এবং ২.৯৭ স্কোর নিয়ে আফগানিস্তান ১৪৩তম অবস্থানে আছে।

সমীক্ষায় ২০১৮ সালে বৈশ্বিক স্কোর হয়েছে আগের বছরের মতোই ৫.৪৮। মোটা দাগে বিশ্বে গণতন্ত্রের দশায় বড় কোনো নড়চড় হয়নি। এবারের সূচকে ৪২টি দেশের অবস্থানের অবনতি ঘটেছে। সেখানে ৪৮টি দেশ নিজেদের রাজনৈতিক পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে পেরেছে। উন্নতির ছাপ পড়েছে এশিয়ার দেশগুলোতেই বেশি। 

তবে ২০১৭ সালের চেয়ে গতবছর কম মানুষ গণতন্ত্রের সুফল পেয়েছে। কোনো না কোনো ধরনের গণতন্ত্র বিরাজ করছে এমন দেশে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ২০১৮ ছিল বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪৭.৭ শতাংশ। আগের বছর এই হার ৪৯.৩ শতাংশ ছিল।

নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার- এই পাঁচ মানদণ্ডে একটি দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১০ ভিত্তিক এই সূচক তৈরি করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।

সব সূমিলিয়ে কোনো দেশের গড় স্কোর ৮ এর বেশি হলে সেখানে ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’ রয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়েছে। স্কোর ৬ থেকে ৮ এর মধ্যে হলে সেখানে ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’, ৪ থেকে ৬ এর মধ্যে হলে ‘মিশ্র শাসন’ এবং ৪ এর নিচে হলে সে দেশে ‘স্বৈরশাসন’ চলছে বলে ধরা হয়েছে।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বলছে, ২০১৮ সালে ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’ ছিল মাত্র ২০টি দেশে, যেখানে বিশ্বের মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ মানুষ বাস করে। ৯.৮৭ স্কোর নিয়ে গতবারের মতোই এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। শীর্ষ দশে আরও আছে আইসল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও সুইজারল্যান্ড।

যুক্তরাজ্য ও জার্মানি পূর্ণ গণতন্ত্রের দেশের তালিকায় থাকলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের স্থান হয়েছে গতবারের মতোই  ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের’ দেশের তালিকায়।

 

এই ভাগের ৫৫ দেশের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কা। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪৩.২ শতাশের বসবাস এসব ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের’ দেশে। বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে মিশ্র শাসনের দেশের তালিকায়, যেখানে ভুটান, নেপাল, পাকিস্তানসহ ৩৯টি দেশ রয়েছে। এসব দেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৬.৭ শতাশের বসবাস।

ইউনিটের বিবেচনায় বিশ্বের ৩৫.৬ শতাংশ মানুষ এখন স্বৈরশাসনে জীবন কাটাচ্ছে। তালিকার তলানিতে আছে উত্তর কোরিয়া। এছাড়া মিয়ানমার, চীন, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, ইরান ও সৌদি আরবকেও একই কাতারে রাখা হয়েছে। 

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর