ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৩৬

গর্ভবতীদের জন্য আম

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:২২ ১৮ মে ২০২২  

গর্ভবতী নারীর খাদ্যাভ্যাস অন্যান্য সময়ের খাদ্যাভ্যাসের মতো নয়। এসময় হবু মায়ের খাবারের দিকে রাখতে হয় বিশেষ নজর। সবচেয়ে ভালো হয় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তালিকা করে খাবার খেলে। গর্ভবতীর খাবারের ক্ষেত্রে কিছু ফলের বিষয়ে নিষেধ থাকে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে এদিকে খেয়াল রাখা বেশি জরুরি। আমও কি সেসব ফলের তালিকায় আছে? সুস্বাদু এই ফল কি গর্ভবতীর খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে?

 

গ্রীষ্মের অন্যতম সুস্বাদু ফল হলো আম। এই ফলের স্বাদ নেওয়ার জন্য সারা বছর মুখিয়ে থাকেন অনেকেই। অন্যদের জন্য তো ঠিক আছে, কিন্তু গর্ভবতীরাও কি এই ফল নির্দ্বিধায় খেতে পারবেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভবতীর খাবারের তালিকায় রাখা যাবে আম। এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে করতে হবে না কোনো ধরনের দুশ্চিন্তা।

 

প্রয়োজনীয় পুষ্টি

আম খেলে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অনেকটাই পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় নারীর শরীরে বাড়তি পুষ্টির প্রয়োজন পড়ে। কারণ তখন তার ভেতরে আরেকটি মানব শরীর গঠিত হতে থাকে। আমে পাওয়া যায় ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬। যে কারণে আম খেলে গর্ভবতী মায়ের শরীরে অনেকগুলো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পৌঁছে যায়। তাই গর্ভবতীরা নির্দ্বিধায় আম খেতে পারেন।

 

ভ্রূণের বিকাশ

ভ্রূণের সঠিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে কিছু ফল। তার মধ্যে একটি হলো সুমিষ্ট ও রসালো ফল আম। আমে থাকে পর্যাপ্ত ফলিক অ্যাসিড, এই অ্যাসিড শুধু হবু মায়েরই উপকার করে না, সেইসঙ্গে গর্ভস্থ সন্তানের জন্যও সমান উপকারী। তাই গর্ভাবস্থায় নিজের ও অনাগত সন্তানের সুস্থতা চাইলে আম খেতে হবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীর অনেকটা নাজুক হয়ে পড়ে। এসময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করা জরুরি হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আম। আমে আছে এমন অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী। তাই নানা ধরনের অসুখ-বিসুখের সঙ্গে লড়াই করার জন্য আম এসময় রাখতে হবে খাবারের তালিকায়।

 

অতিরিক্ত আম নয়

অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। এটি যেকোনো খাবারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গর্ভবতীরা অতিরিক্ত আম খেলে মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কতটুকু প্রতিদিন আম খেতে পারবেন তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।