ঢাকা, ০৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ২১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮৫২

চঞ্চল বাচ্চাদের বশে আনার কৌশল

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:০৪ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

করোনার কবলে পড়ে অধিকাংশ সময় ঘরে থাকছেন মানুষ। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল প্রায় ৬ মাস। অফিস, শপিং মল, পার্ক খুললেও স্কুল-কলেজ বন্ধ। ফলে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাবা-মায়েরা। ডানপিটে শিশুকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। 
বাইরে বেরিয়ে আমোদ-প্রমোদ করার সুযোগ নেই। প্রাণঘাতী ভাইরাসের কারণে বন্ধ বাচ্চাদের খেলাধুলা, হৈ-হুল্লোড়। সারাদিন বাবা-মায়ের চোখের সামনে বসে থাকতে হচ্ছে তাদের। কথার অবাধ্য হলেই জুটছে চোখ রাঙানি। 

 

আবার সন্তানদের দুষ্টুমির কারণে ঠিকমতো সব কাজ করতে পারছেন না বাবা-মায়েরা। ফলে অশান্তি লেগেই থাকছে বাড়িতে। নষ্ট হচ্ছে বাসগৃহের পরিবেশ। স্বভাবতই সন্তানকে সামাল দিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন অভিভাবকরা। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য রইল কিছু টিপস। এসবের মাধ্যমে অনায়াসেই দুষ্টু বাচ্চাদের বশে আনা যাবে।

 

# সন্তানকে আদর ও ভালোবাসা দিয়ে বোঝান বর্তমান সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা। বিষয়টি সম্পর্কে তাদের অবগত করেন। এতে চঞ্চল সন্তান কিছুটা হলেও বদলাতে পারে। 

 

# সন্তান সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত কোন সময় কী কী করবে সেই রুটিন তৈরি করুন। কতক্ষণ ঘুমাবে, কখন ঘুম থেকে উঠবে, কতক্ষণ পড়বে, কতক্ষণ টিভি দেখবে, কতক্ষণ খেলবে, কোন টাইমে ব্যায়াম করবে, কখন ঘুমাতে যাবে ইত্যাদির সময় নির্ধারণ করুন। এতে শিশু নিজের দায়িত্ব নিতে এবং নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলতে শিখবে। নজর রাখুন যাতে সে রুটিনটা মেনে চলে। 

 

# বাড়িতে যা কিছুই করবেন তাতে বাড়ির অন্যান্য সদস্যের পাশাপাশি সন্তানেরও মত নিন এবং বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। যদি সন্তানের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেন, তবে তা নেয়ার আগে কিছুটা মতামত গ্রহণ করুন। একেবারে অগ্রাহ্য করবেন না কিংবা নিজের মত তাদের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। এটি করলে আপনাদের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। এ কঠিন সময়ে সন্তানও সাহায্য করবে। 

 

# সন্তানকে বোঝান, কোন কাজটি করলে পুরস্কার পাওয়া যায় এবং কোনটি করলে কপালে তিরস্কার জোটে। যদি সে নিয়ম মেনে সবকিছু সঠিকভাবে করে নেয়, তবে পুরস্কার স্বরূপ তার পছন্দের খাবারটি বানিয়ে খাওয়াতে পারেন অথবা আধঘণ্টার বেশি খেলা বা টিভি দেখার সুযোগ দিতে পারেন। এর ফলে দেখবেন, পরেরদিন থেকে সে নিজেই সবকিছু মেনে চলছে, আপনাকে বিরক্ত করছে না। 

 

# নিজের কাজ হয়ে যাওয়ার পর বাচ্চাকে নিয়ে নিজের মতো করে অবসর সময় কাটান। মোবাইল, গেম, টিভি ইত্যাদি থেকে দূরে রেখে নিজে কিছু গল্প পড়ে বা বলে শোনান। নিজের কিছু স্মৃতি সন্তানের সঙ্গে ভাগ করুন। 

 

# যখন সন্তানের ব্যায়াম করার সময়, সেই সময়টি আপনি ফ্রি থাকুন। সন্তান ও আপনি একসঙ্গে শারীরিক ব্যায়াম করুন। এসময় তাকে কখনই একা হতে দেবেন না। এতে বিপদ বাড়তে পারে। 

 

# অন্য বন্ধুদের সঙ্গে কখনই নিজের সন্তানকে তুলনা করবেন না। এতে সন্তান মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। কোনও বন্ধু ভালো করে পড়ছে, দুষ্টুমি করছে না, কাজে সাহায্য করছে, কিন্তু সে এগুলো কিছুই করছে না-এমন কথা সন্তানকে বলবেন না। নিন্দার পরিবর্তে কাজগুলো করার জন্য ইন্সপায়ার করুন। 

 

# এ খারাপ সময়ে সন্তানরা মানসিকভাবে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। কারণ কবে স্কুল খুলবে, আবার কবে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দেখা হবে, টিফিন ভাগ করে খাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়া, এসব জিনিস তারা মন থেকে খুব মিস করছে। সুতরাং অল্প কিছুতেই কড়া শাসন বা বকা দেয়ার পরিবর্তে তাদের ভালোবেসে বোঝান।

শিশু বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর