ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪০২

চাকরি পরিবর্তন:নিয়োগ চলাকালীন বেতন নিয়েও আলোচনা করুন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৪২ ২ ডিসেম্বর ২০২০  

কোনও চাকরিই সুখের নয়। পরিশ্রম করলে তবেই উপযুক্ত পারিশ্রমিক মেলে। তবে সবসময় যে শিক্ষা আর পরিশ্রমেই সঠিক চাকরি পাওয়া যায় এমন নয়। বেশিরভাগ কোম্পানির লক্ষ্য থাকে কীভাবে কম মাইনে দিয়ে বেশি কাজ করিয়ে নেয়া যায়। মূলত বাংলাদেশে এ ধারণা বিশেষভাবে প্রচলিত। 

 

এমন নয় যে সব চাকরিই এরকম। কিছু চাকরিতে বেশ ভালো বেতনও রয়েছে। কিন্তু সরকারি চাকরি এখন হাতে গোনা। বেশিরভাগই বেসরকরারি সংস্থা নির্ভর। তাই এখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন আলোচনা করতে হয় বেতন নিয়েও। সেই আলোচনার সময় আপনার যোগ্যতা, কাজ উঠে আসে সবই। 

 

কঠিন কাজ কতটা দক্ষতার সঙ্গে আপনি সামলাতে পারবেন, সেই বিষয়ে আপনাকে প্রশ্ন অবশ্যই করবেন নিয়োগকর্তারা। প্রথম রাউন্ডে যদি যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে যান, এর পরের কাজটি থাকে স্যালারি নিয়ে আলোচনা। 

 

আপনার স্যালারি কতটা হবে, পরিশ্রমের বিনিময়ে ঠিক কতটা পারিশ্রমিক পেলে আপনি সন্তুষ্ট তা যাচাই করে নিন। অনেক সময় উপায় না থাকায় কম পারিশ্রমিকে কাজ করতে হয় ঠিকই, কিন্তু তা বারবার অবশ্যই করবেন না।

 

নিজের মূল্য জানুন
প্রথম চাকরিতে কেউই তেমন দর কষাকষি করেন না। নিজের অভিজ্ঞতার জন্য যে পারিশ্রমিকের কথা বলেন চাকরিদাতা তাই মেনে নেন। কিন্তু পরবর্তীতে যখন চাকরি চেঞ্জ করবেন, তখন অবশ্যই নিজের দর দেখে নেবেন। 


আপনি কী কী কাজ পারেন, আপনার দক্ষতা, আগের অফিসে কী কাজ করেছেন- এসব কিছু মিলিয়ে যেমন পারিশ্রমিক হওয়া উচিত তা যাচাই করে নিন। এর সঙ্গে অবশ্যই দেখুন অভিজ্ঞতা। বেশ কিছু জায়গায় চাকরির আবেদন করুন। দেখে নিন কোথায় আপনাকে আপনার যোগ্য পারিশ্রমিক দেয়া হচ্ছে।

 

নিয়োগকর্তার বিষয়ে ভালো করে জানুন
যিনি বা যে কোম্পানি আপনাকে নিয়োগ করতে চাইছে, তাদের ব্যাপারে ভালো করে খোঁজখবর করুন। অর্থাৎ তারা কেমন কাজ পছন্দ করেন। কীভাবে কথা বললে খুশি হবেন। সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে তাদের ব্যবহার, ঠিক কতটা পরিমাণ পর্যন্ত পারিশ্রমিক তারা দেন-এসব যাচাই করে নিন। আপনার স্যালারি কেমন হওয়া উচিত আপনাকেই তা বুঝিয়ে বলতে হবে।

 

সর্বোচ্চ দিয়ে শুরু করুন
প্রথমেই আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী স্যালারি কেমন হওয়া উচিত তা দেখে নিন। যোগ্যতা অনুযায়ী স্যালারি ৪০ শতাংশ হলে আপনি ৫০ শতাংশ বলুন। প্রথমেই ভদ্রতার খাতিরে কমিয়ে বললে তা আরও কমে যেতে পারে। এখানে কোনও অনুনয় বিনয় নয়। শুরু করুন বেশি থেকে। তবেই আপনি যা চাইছেন, সেটার কাছাকাছি বা এর থেকে খানিক কম পেতে পারেন।

 

কথা বলার সময় আত্মবিশ্বাস রাখুন
পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলুন। কথা বলতে গিয়ে একদমই ভয় পাবেন না। নিজের কাজ, নিজের পরিধি সম্পর্কে সচেতন থাকুন। কাজ নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের যাতে সঠিক জবাব দিতে পারেন তা মাথায় রাখুন। কোম্পানি যদি আপনাকে বলে এ মুহূর্তে দেয়া সম্ভব নয় কিংবা পরে বাড়বে এককথায় বিশ্বাস করবেন না। পর পক্ষের কথার ভিত্তিতে নিজের দর ৪০ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৩০ শতাংশে আনবেন না।

 

নিজের প্রোফাইল সবসময় তৈরি রাখুন
নিজে কি কাজ করেছেন, আপনার পড়াশুনো এসব কিছু হাতের সামনে তৈরি রাখুন। এমন নয় যে একটা জায়গায় না হলে আপনি আর চাকরি পাবেন না। বরং নিজেকে প্রশ্ন করুন। আপনার যদি মনে হয়, এ সংস্থায় আরও এক বছর কাজ করলেও অসুবিধা হবে না। তাহলে তাই করুন। 

 

সেই সময়টায় আপনি অন্য চাকরির খোঁজ করতে পারেন। যদি মনে হয় অভিজ্ঞতার জন্য আপাতত এ কোম্পানিতেই আরও কয়েক বছর থাকবেন, তাহলে তাও করতে পারেন। কিন্তু নিজের যাবতীয় কাজ নিজেকেই শিখতে হবে। আপ টু ডেট থাকতে হবে।