ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৩৬

চামড়া সংরক্ষণে পর্যাপ্ত লবণ সরবরাহ করবে বিসিক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৩১ ২০ জুলাই ২০২০  

আসন্ন ঈদুল আজহায় জবাইকৃত কোরবানির পশুর চামড়া সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ডিলার পাইকার ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ করবে।

এ লক্ষ্যে বর্তমানে দেশে পর্যাপ্ত লবণ মজুদ থাকা সত্বেও শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে বিসিকের নিয়ন্ত্রণাধীন সব লবণ কারখানা চালু রেখে প্রক্রিয়াজত করার কাজ অব্যাহত রয়েছে। প্রক্রিয়াজাত লবণ ডিলার, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে সরবরাহ অব্যাহত রাখতে মিল মালিকদের দাপ্তরিক নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। 

পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত ডিলার/পাইকারি বিক্রেতা পর্যায়ে পর্যাপ্ত লবণ মজুদ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিসিকের প্রধান কার্যালয় থেকে জেলা কার্যালয়গুলোকে প্রযোজনীয় নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশে ভোজ্য ও শিল্প লবণ মিলিয়ে মোট মজুদের পরিমাণ ১২ লাখ ৭৩ হাজার টন। এর মধ্যে লবণ মাঠে রয়েছে ১০ লাখ ৯৩ হাজার টন এবং মিলগুলোতে আছে ১ লাখ ৮০ হাজার টন।

এদিকে, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিসিকের জেলা কার্যালয়গুলো সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা-উপজেলাভিত্তিক ডিলার ও পাইকারি লবণ বিক্রেতাদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত করছে। তালিকা প্রণয়ন সম্পন্ন হলে বিভিন্ন এতিমখানা, ইউনিয়ন পরিষদসহ কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তালিকা সরবরাহ করা হবে।

এছাড়া ঈদকেন্দ্রিক সরবরাহ পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক তদারকি করতে লবণ জোনগুলোতে অবস্থিত বিসিক কার্যালয়, বিসিকের আঞ্চলিক কার্যালয় এবং প্রধান কার্যালয়ে পৃথক মনিটরিং কমিটি ইতোমধ্যে গঠন করা হযেছে। এসব কমিটি মাঠ পর্যায়ে লবণের মজুদ, চলাচল ও মূল্য সংক্রান্ত তথ্যাদি নিয়মিত সংগ্রহ ও মনিটরিং করছে।

কোরবানির সময় সারাদেশে লবণের চাহিদা কম-বেশি ১ লাখ টন। বর্তমান মজুদ দিয়েই ঈদুল আজহাসহ আগামী ৭-৮ মাসের লবণের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এছাড়া চলতি বছরের নভেম্বর থেকে লবণ উৎপাদনের নতুন মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। ফলে এ বছর লবণের মজুদ যেমন পর্যাপ্ত থাকছে, তেমনি সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও সমস্য হবে না বলে বিসিক মনে করে।