ঢাকা, ২৭ নভেম্বর বুধবার, ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৪৬

জাতীয় মহাসড়কে টোল আদায়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:২২ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

দেশের সড়ক-মহাসড়কে নির্মিত সেতু থেকে টোল আদায়ের রীতি রয়েছে। এবার জাতীয় মহাসড়ক ব্যবহার করলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও তা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর পাশাপাশি মহাসড়ক থেকে টোল আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশেও বড় বড় মহাসড়ক যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-রংপুর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ এসব মহাসড়কে টোলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। কেবল তাই নয়, টোলের মাধ্যমে আদায় করা টাকার জন্য একটি আলাদা ব্যাংক হিসাব করতে হবে। সেই টাকা দিয়ে মহাসড়কগুলো সংস্কার করা যাবে।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
দেশের ২১টি মহাসড়কে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে কেউ যাতে টেম্পারিং করতে না পারে। এটা সময়ের দাবি। কিন্তু এমন পদ্ধতি বের করতে হবে যাতে যাত্রী থাকুক আর না থাকুক এর উপর দিয়ে গাড়ি গেলেই যেন সেটির নাম, নাম্বার, ওজনসহ বিস্তারিত তথ্য উঠে যায়।
তিনি বলেন, এসব তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো একটি জায়গা থেকে মনিটরিং করতে হবে। এই কাজগুলো যেন স্বয়ংক্রিয় হয়। এছাড়া ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানগুলো যাতে নিদিষ্ট মাপের তুলনায় বেশি না হয়। সব যানবাহনের মাপ একটি নির্দিষ্ট স্টান্ডার্ডে হতে হবে।
এম এ মান্নান জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের প্রয়োজনীয় জনবল আগেভাগে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কার্যক্রমের ব্যবস্থা প্রকল্পের মধ্যেই থাকতে হবে। যাতে প্রকল্প শুরু হলে জনবলের অভাবে বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত না হয়।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, দেশের সব জেলখানায় ভার্চুয়াল আদালত স্থাপন করতে হবে। যাতে দুর্ধর্ষ আসামিদের জেল থেকে আদালতে টানাটানি করতে না হয়। যেসব আসামি ছিনতাই বা অন্য কোনও বা এ ধরনের কারণে জেলে রয়েছেন, সেসব আসামিকে ক্যামেরার মাধ্যমে এজলাসে বসেই বিচারক যেন বিচার করতে পারেন। এছাড়া কারারক্ষীদের তৈরি করা পণ্য বিক্রির অর্ধেক মূল্য যাতে তারা পায় সেই ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।
আলু রফতানির জন্য নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, উন্নত বীজ এনে আলুর মান বাড়াতে হবে। যাতে রফতানির ক্ষেত্রে কোনও বাধা না থাকে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কত সেই পরিসখ্যানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, পুরনো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যাতে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয় যে কত শিক্ষার্থী তারা ভর্তি করতে পারবে। এজন্য একটি নীতিমালা করতে হবে। প্রয়োজন হলে যেসব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেসব জেলায় নতুন করে তা করতে হবে।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর