ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৩০৮

জিআই পণ্যের নিবন্ধন পেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৫৯ ২৭ জানুয়ারি ২০১৯  

দেশের তৃতীয় ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে জিআই নিবন্ধন সনদ পেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মজাদার খিরসাপাত আম।

 

রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের হাতে সনদ তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

 

শিল্পমন্ত্রী বলেন, গুণগতমানের জন্য গোটাবিশ্বে বাংলাদেশি আমের ব্যাপক চাহিদা ও বিশাল বাজার আছে। শুধু আম দিয়েই বাঙালি জাতির নিজস্ব পরিচয় বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা সম্ভব। জিআই সনদ অর্জনের ফলে দেশে খিরসাপাত আমের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি আমকেন্দ্রিক অর্থনীতি জোরদার হবে।

 

২০১৬ সালে জিআই পণ্য হিসেবে প্রথম জামদানিকে স্বীকৃতি দেয় পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। পরের বছর জাতীয় মাছ ইলিশ জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পায়। এবার সেই স্বীকৃতি পেল খিরসাপাত আম।

 

ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় এ আমে আলাদা ট্যাগ বা স্টিকার ব্যবহার করা যাবে। প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদন করে সব গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট ঠিক রেখে বাজারজাত করা যাবে। আলাদাভাবে চিহ্নিত হওয়ায় রপ্তানিতে তুলনামূলক বেশি দাম পাওয়া যাবে।

 

 খিরসাপাত আম আকারে মাঝারি, গড়নে ডিম্বাকৃতির, প্রতিটি আমের ওজন ১৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত। কাঁচা অবস্থায় রঙ হালকা সবুজ, পাকলে সবুজাভ হলুদ রঙ ধরে। খোসা মসৃণ ও আঁটি পাতলা। আঁশবিহীন হওয়ায় এবং মিষ্টি স্বাদ ও গন্ধের জন্য ল্যাংড়ার পর এ আমের কদরই সবচেয়ে বেশি।

 

আমকেন্দ্রিক গবেষণা এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পায়নে সরকারের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, আমসহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ফল, ফুল, পাখি ও পণ্যকে জিআই নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এজন্য এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।

 

দ্রুত নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ‘ল্যাংড়া’ এবং ‘আশ্বিনা’ আমের অনুকূলেও জিআই সনদ প্রদানের জন্য পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) প্রতি নির্দেশনা দেন শিল্পমন্ত্রী।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, খিরসাপাত আম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় দেশে-বিদেশে ব্যাপক চাহিদা ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তৈরি হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আলাদা ব্র্যান্ডিংয়ের সুযোগ বাড়বে।

 

ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) রেজিস্ট্রার মো. সানোয়ার হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।