ঢাকা, ৩০ অক্টোবর বুধবার, ২০২৪ || ১৫ কার্তিক ১৪৩১
good-food
৭৭৬

জেল থেকে নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশ দেয় অধ্যক্ষ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:০০ ১৩ এপ্রিল ২০১৯  

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এজাহারভুক্ত আট আসামির মধ্যে পরিকল্পনাকারী শাহাদাৎ হোসেন শামীম (২০), নূর উদ্দিন (২০), কাউন্সিলর মাকসুদ আলম (৪৫), জোবায়ের আহমেদ (২০), জাবেদ হোসেন (১৯) আফসার উদ্দিনকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।

একই ঘটনায় আগে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক সিরাজ উদ দৌলাকে নুসরাত হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এজাহারভুক্ত অপর আসামী হাফেজ আব্দুল কাদের পলাতক রয়েছে। মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড মাদ্রাসার অধ্যক্ষর নির্দেশে ঘটেছে।

নগরীর ধানমন্ডিতে দুপুরে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, অধ্যক্ষের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। গেল এপ্রিল আসামি নুর উদ্দীন শাহাদাৎসহ কয়েকজন কারাগারে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন। তখন তিনি নুসরাতকে কিছু একটা করার নির্দেশনা দেন। এরপর এপ্রিল সকালে নূর উদ্দিনসহ কয়েকজন মিলিত হয়ে পরিকল্পনা করেন। তারা সিদ্ধান্ত নেন, শিক্ষার্থীকে পুড়িয়ে মারা হবে।

পিবিআই জানিয়েছে, পরিকল্পনামতো তিনটি বোরকা কেরোসিন আনার দায়িত্ব পড়ে শম্পা নামে এক ছাত্রীর ওপর। ওই ছাত্রী কথামতো সকাল ৯টায় শাহাদাতের কাছে সেসব হস্তান্তর করে। সকাল ৯টার পর ওই মাদ্রাসার ভবনের ছাদে চারজন অবস্থান নেয়। পরিকল্পনায় অংশ নেয়া শম্পা ওরফে চম্পা নামে ওই ছাত্রী নুসরাতকে জানায়, তার সহপাঠী নিশাতকে ভবনের ছাদে মারধর করা হচ্ছে। ওই খবরে নুসরাত ছাদে গেলে তাকে আটকে দেয়া হয়। প্রথমে ওড়না দিয়ে বাঁধা হয়। এরপর কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া হয়। মাদ্রাসার বাইরে নুর উদ্দিনের নেতৃত্বে ৪/৫ জন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে গেট পাহারা দেয়। আগুন দেয়ার পর সরাসরি অংশ নেয়ারা বোরকা পরে বের হয়ে যায়।

গেল ৬ এপ্রিল নুসরাত মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিতে গেলে এক দল দৃর্বৃত্ত তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দগ্ধ অবস্থায় ওই দিন রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। গেল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।

এর আগে গেল ২৭ মার্চ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা।

জনদুর্ভোগ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর