ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬০০

২২ পয়েন্টে শতাধিক বাইসাইকেল

জোবাইক এখন গুলশান-বনানী-বারিধারায়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৩৭ ২৪ জুন ২০২০  

দেশের প্রথম বাইসাইকেল রাইড শেয়ারিং সেবার প্রতিষ্ঠান জোবাইকের কার্যক্রম এবার বিস্তৃত হল ঢাকার উত্তর সিটি করপোরশনের গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায়।

 

এসব এলাকায় ২২টি পয়েন্টে শতাধিক বাইসাইকেল থাকবে।

যে কেউ জোবাইকের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতি মিনিট ১ টাকা খরচে এই সেবা নিতে পারবেন।

 

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় জোবাইকের সেবা শিক্ষার্থী ও তরুণদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলে।

 

এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী রেজা বলেন, “কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে সহজে যাতায়াতের সুবিধা দিতেই এই সেবা চালু করা হয়েছে।  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ইউজার সাড়ে তিন হাজার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সেবা চালুর এক সাপ্তাহের মধ্যে দেড় হাজার রাইড নিয়েছেন ব্যবহারকারীরা।”

 

ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কক্সবাজার শহরে এই সেবা চালু আছে বলে জানান তিনি।

 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বুধবার দুপুরে গুলশান ২ নম্বরে এক অনুষ্ঠানে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় জোবাইক সেবার উদ্বোধন করেন।

 

তিনি বলেন, “সারা বিশ্বে ধনী-গরীব, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলে বাইসাইকেল ব্যবহার করছে। আমাদেরকেও এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আসুন পরিবেশ বাঁচানোর জন্য, কার্বন ডাই- অক্সাইড নিঃসরণ কমানোর জন্য বাইসাইকেল ব্যবহার করি, ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুন্দর ঢাকা উপহার দেওয়ার জন্য বাইসাইকেল ব্যবহার করি।”

 

মেয়র জানান, আগামীতে উত্তরাসহ পর্যায়ক্রমে সিটি করপোরেশনের সর্বত্র এই সেবা সম্প্রসারণ করা হবে।

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “বাইসাইকেল চালানো আমরা সবাই পছন্দ করি, কিন্তু সুযোগ পাইনা। গ্রামে সাইকেল চালানোর সুযোগ থাকলেও শহরে এ সুযোগ নেই। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ডিএনসিসি মেয়র কাজ করছেন।”

 

পরে মেয়র আতিক ও প্রতিমন্ত্রী পলক নিজেরা বাইসাইকেল চালিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবার উদ্বোধন করেন।


ঢাকার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী আবদুল হাই, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, স্থপতি ইকবাল হাবিব, জোবাইকের সিইও মেহেদী রেজা, পরিচালক শামীম আহসান, চেয়ারম্যান সাজিদ হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

 

মেহেদী রেজা জানান, জোবাইকের স্মার্ট সাইকেলের সঙ্গে থাকে লকিং সিস্টেম, সোলার প্যানেল ও জিপিএস। এই সেবা নিতে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে হবে। মোবাইলেই টাকা রিচার্জ করে নিতে হবে।

 

বনানী কবরস্থান, বনানী ১১ নম্বরের মাথায়, বারিধারা, শ্যুটিং ক্লাবের সামনে, গুলশান দুই নম্বর ল্যাবএইডের সামনে, গুলশান লেডিস পার্কের কাছে ছয়টি জায়গায় রিচার্জ সেন্টার আছে। সেখানে নিবন্ধন ও অ্যাকাউন্ট রিফিল করা যাবে।


২২টি পার্কিং পয়েন্টে এসব বাইসাইকেল থাকবে। রাইড নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তি সেসব জায়গায় গিয়ে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সাইকেলের সঙ্গে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করলে লক খুলবে। তখনই শুরু হবে সময় গণনা। গন্তব্যে পৌঁছে ব্যবহারকারী যখন সাইকেলটি স্ট্যান্ড করে পুনরায় লক করবেন, তখন শেষ হবে তার রাইড।

 

মেহেদী রেজা বলেন, সাইকেল নিয়ে কেউ কর্মস্থল বা কাজে গিয়ে আবার সেই সাইকেল নিয়ে ফিরে আসতে পারবেন রাইড শুরুর জায়গায়। তিনি না এলেও জো বাইকের কর্মীরা গিয়ে বাইকটি নিয়ে আসবেন। অথবা অন্য কোনো সেবা গ্রহীতা চাইলে সেখান থেকে বাইকটি ব্যবহার করতে পারবেন।

 

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা ১০০টি সাইকেল চীন থেকে এনেছেন। চাহিদা বাড়লে আরও আনা হবে।

 

সাইকেলগুলো অলিগতিতে চালানোর পরামর্শ দিয়ে মেহেদী রেজা বলেন, “মূল সড়কে চালাতে নিরুৎসাহিত করতে প্রতি মিনিটের খরচ ৩ টাকা ধরা হয়েছে।”