ঢাকা, ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৪০

টক আর মিষ্টি ফল খেলেই মিলবে উপকার, দূর হবে হাজারও রোগ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৪:১৭ ১৪ অক্টোবর ২০২৪  

আমরা আনারস খেতে কমবেশি সবাই ভীষণ পছন্দ করি। কিন্তু আপনি জানেন কি— এই মিষ্টি ফল খেলে ক্যানসার রোগের ঝুঁকি কমে যায়। আর টক ও মিষ্টি আনারস খেলে আপনার শরীর একদম সুস্থ থাকবে। আবার আনারস যদি কাঁচাও খেতে পারেন, তাতেও উপকার পাবেন। চাটনি করেও খেতে পারেন আনারস, ভালো লাগবে। 

 

আনারসের প্রচুর গুণ রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার ও ফাইবার থাকে, যা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে। রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে। 

 

জেনে নিন প্রতিদিন আনারস খেলে এর উপকারিতা কী কী—

আনারস খেলে যেসব সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন, তা জানা একান্তই প্রয়োজন। কারণ সুস্থ ও সবল থাকতে অবশ্যই আনারস প্রতিদিন খান। যদি আপনি রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে চান, তাহলে খাদ্যতালিকায় রাখতেই পারেন আনারস। এটি খেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। এমনকি মৌসুমে রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

 

জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে আনারস। এতে প্রচুর পরিমাণে আন্টি ইনফ্লেমেন্টরি বৈশিষ্ট্য থাকে, যা জয়েন্টের ব্যথা ও অস্টিওপোরোসিস রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। যদি আপনি বাতের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তা হলে সহজে মুক্তি পাবেন।

 

এ ছাড়া যদি আপনি রোজ আনারস খান, তাহলে আপনার হাড় মজবুত থাকবে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া এতে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। আনারসে ফলিক অ্যাসিড থাকে। আরও থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আপনার শরীরের কোষকে রক্ষা করে।

 

আনারস খেলে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমায়। ওজন কমাতে পারে আনারস। যদি আপনি রোজ আনারস খান, তাহলে শরীর হাইড্রেড থাকার সঙ্গে সঙ্গে ওজনও কমবে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আনারস খেলে ত্বক ভালো রাখে। আর ত্বক ভালো ও উজ্জ্বল রাখতে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। 

 

এমনকি সূর্যের আলো পড়ে যদি আপনার ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, তাও সহজে দূর হবে। যদি আপনি অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত থাকেন, তাহলে এগুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।