ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫৮২

ট্যাটু এত ক্ষতিকর?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৩১ ২০ অক্টোবর ২০২০  

হিন্দুদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই সম্প্রদায়টির লোকজনের মধ্যে ট্যাটু করানোর হিড়িক পড়েছে। গেল কয়েক বছরে এ প্রবণতা ব্যাপক বেড়েছে। যা বেজায় ভয়ঙ্কর বিষয়! 

 

ট্যাটু করার সময় বিশেষ রঙ ব্যবহার করা হয়। তাতে বিষাক্ত কেমিক্যাল থাকে। এটি রক্তে বেশি মাত্রায় মিশে গেলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ছোট-বড় যেকোন রোগ বড় আকার ধারণ করার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। 

 

শুধু তাই নয়, আরও নানাভাবে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে ট্যাটুর রঙ। আতঙ্কের বিষয়, বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারেননি এতে কী আছে, যা এতটা সর্বনাশ করে। তবে তারা নিশ্চিত, এ রঙে উপস্থিত নিকেল, ক্রোমিয়াম, কোবাল্ট এবং টাইটেনিয়াম ডাইঅক্সাইড দেহের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক।

 

তাই এ উপাদানগুলোর কোনোটা ভুলেও রক্তে মিশে গেলে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। পাশাপাশি টাইটেনিয়াম ডাইঅক্সাইড ত্বকের ক্ষতি করে। চুলকানি ও প্রদাহজনিত সমস্যা হয়। 

 

প্রসঙ্গত, শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) হলো হাজারো কোষ ও টিস্যুর নেটওয়ার্ক, যা একসঙ্গে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এ সিস্টেম ছোট-বড় নানা রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে। তাই রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে বেজায় বিপদ! 

 

যেকোনও সময় খারাপ কিছু ঘটতে পারে। ফলে এমন কোনও কাজ করা উচিত নয়, যা থেকে এ ধরনের কিছু ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এখন প্রশ্ন হলো, ট্যাটু করার পর কীভাবে বুঝবেন রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে? 

 

এক্ষেত্রে সাধারণত যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে পারে, সেগুলো হলো- মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ডিহাইড্রেশন, মারাত্মক ক্লান্ত লাগা, সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়া, লিম্ব গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া এবং শরীর ভাঙতে শুরু করতে পারে।

 

এমন সময় যত শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। একইসঙ্গে এ আর্টিকেলে আলোচিত খাবারগুলো খেতে হবে। তাহলে রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে পুনরায় শক্তিশালী করে তোলা যাবে। যে যে খাবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে-

 

হলুদ: শতাব্দী প্রাচীন মশলাটি প্রতিদিন নানাভাবে খেলে শরীর-মন চাঙ্গা হয়। এতে উপস্থিত কার্কিউমিন এক ধরনের অক্সিডেন্ট, যা সহায়তা করে। 

 

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: পেয়ারা, লেবু, জাম, চেরিসহ একাধিক ফল ও সবজিতে রয়েছে ভিটামিন সি। এটি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা রোগ- প্রতিরোধ ব্য়বস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়ক। 

 

আদা-রসুন: দুটিতেই রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। সেই সঙ্গে আছে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপার্টিজও, যা ভেঙে পড়া রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে পুনরায় শক্তিশালী করে। তাই এ পূজায় ট্যাটু করার প্ল্যান থাকলে আগে থেকে বাড়িতে পর্যাপ্ত আদা ও রসুন মজুত রাখতে ভুলবেন না! 

 

অশ্বগন্ধা: এ প্রাকৃতিক উপাদান একাধিক উপকারে লাগে। প্রতিদিন নিয়ম করে অশ্বগন্ধা খেলে এনার্জির ঘাটতি দূর হয়।রোগ-প্রতিরোগ ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে নানাবিধ সংক্রমণের আশঙ্কা হ্রাস পায়। 

 

বিটরুট: রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ইস্পাতের মতো করে তুলতে এ প্রাকৃতিক উপাদানের কোনও বিকল্প নেই। নিয়মিত বিটরুটের রস খেলে শরীরে ফাইটোকেমিকাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ে। যা প্রতিনিয়ত ইউমিউন সিস্টেমের দেখভাল করে।