ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫৬৪

ট্রাফিক পুলিশে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৫১ ৩ ডিসেম্বর ২০২০  

সিলেটে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও সমন্বয় বাড়াতে ১০ জন সার্জেন্টক ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ দেয়া হয়েছে। গেল মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর পুলিশের (এসএমপি) ১৫ দিনব্যাপী ট্রাফিক পক্ষ ২০২০ শুরুর দিনে তারা এসব বিশেষ ক্যামেরা পেলেন। এতে করে প্রযুক্তিতে আরেক ধাপ এগোলো এসএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ।

 

এদিন সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মুক্তমঞ্চে এসএমপি’র ট্রাফিক পক্ষ ২০২০ উদ্বোধন শেষে মহানগরীতে কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্টদের গায়ে এ ক্যামেরা সংযুক্ত করেন এসএমপি কমিশনার নিশারুল আরিফ।

 

ট্রাফিক পক্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বলেন, এখন থেকে এসএমপি’র ট্রাফিক পুলিশে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’র মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে সরাসরি সার্জেন্টের কার্যক্রম মনিটর করা যাবে। এতে ট্রাফিক পুলিশের সেবার মান বাড়ার পাশাপাশি সাধারণ জনগণ উপকৃত হবেন।

 

এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের আরও সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।

 

এর আগে ট্রাফিক পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ( ডিসি) ফয়সল মাহমুদ জানান, এ ক্যামেরার মাধ্যমে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্যকারী যানবাহন ও চালক শনাক্তকরণ, দুর্ঘটনা, কর্মরত পুলিশের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং সমন্বয় বাড়াতে সড়কে দায়িত্বরত পুলিশের অনিয়ম প্রতিরোধ ও তল্লাশি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ সহজতর হবে। সিলেটে প্রথমবারের মতো এ ক্যামেরা পেলেন ১০ ট্রাফিক সার্জেন্ট। 

 

তিনি বলেন, সড়কে প্রায়ই যানবাহন চালক, পথচারী ও ট্রাফিক পুলিশের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। পথচারী ও যানবাহন চালকরা আইন অমান্য করে থাকেন। আবার কখনও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের অস্বাভাবিক আচরণের অভিযোগ ওঠে। এসব ক্ষেত্রে যাত্রী বা চালকের অভিযোগ থাকে পুলিশের বিরুদ্ধে। আবার পুলিশের অভিযোগ থাকে যাত্রী বা চালকের বিরুদ্ধে। অনেক সময় রাস্তায় দুর্ঘটনার সঠিক কারণ উদঘাটন করা যায় না। তাই সব বিষয় মনিটরিংয়ের জন্য ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ চালু করা হয়েছে।

 

উপ-পুলিশ কমিশনার ( ডিসি) ফয়সল মাহমুদ বলেন, ক্যামেরাটি দায়িত্বরত পুলিশের বুকে কিংবা কপালে লাগানো থাকবে। এটার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে যেমন দুর্নীতি হ্রাস পাবে, এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি সেবাদাতা ও গ্রহীতা দুপক্ষের আচার আচরণ মনিটরিং করা যাবে। এক্ষেত্রে সবাই সংযত থাকবেন। পরে ট্রাফিক সচেতনতা বাড়াতে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।