ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৬১

ডেঙ্গু থেকে নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাঁচান, যা যা করবেন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৪৭ ১৫ নভেম্বর ২০২২  

ডেঙ্গু ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। মৃত্যু বেড়েই চলেছে। বাচ্চা থেকে বয়স্ক। একের পর এক ডেঙ্গুতে মৃত্যুর খবর আসছে। করোনার মতোই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ডেঙ্গু ঠেকাতে জোরকদমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে  স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে বিশেষজ্ঞের টিম। কিন্তু শুধু সরকার বা প্রশাসন উদ্যোগ নিলেই হবে না। নিজেদেরও এসময় যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে।

 

নিজের পরিবারকে ডেঙ্গি থেকে বাঁচাতে সতর্কতা আগে নিজেদেরই নিতে হবে। ডেঙ্গু মশা বেড়েছে। তাছাড়া জমা পানি, আবর্জনায় আরও বেশি মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। মশার লালা বাহিত হয়ে ডেঙ্গুর ভাইরাস ঢুকে পড়ছে মানুষের শরীরে। করোনার পরে নানা শারীরিক সমস্যায় জেরবার অনেকে। তার মধ্যে ডেঙ্গু হলে শরীর আরও বিগড়ে যাচ্ছে। যাদের আগে থেকেই নানা কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু ভয়ানক হয়ে উঠছে। তাই প্রত্যেককে এসময় বাড়তি সতর্কতা নিতেই হবে।

 

কী কী সতর্কতা নিতেই হবে?

১) ডেঙ্গুর এডিস মশা মূলত ভোরে সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যাস্তের আধঘণ্টা আগে কামড়ায়। তাই দিনের এই সময়টিতে সতর্ক থাকা দরকার। মশা যাতে ঘরে ঢুকতে না পারে। প্রয়োজনে ঘরের জানালা বন্ধ রাখুন। অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনের সময়টা বাদ রাখলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা, ভোর ৪টা থেকে সকাল ৬টাতেও এই মশা সক্রিয় থাকে। তাই এই সময়টাতেও সাবধান থাকতে হবে।

 

২) হাত-পা সম্পূর্ণ ঢাকা থাকবে এ জাতীয় পোশাক পরাই ভালো। অনাবৃত অংশে মশার কামড়ের হাত থেকে রেহাই মিলবে সেক্ষেত্রে। যারা বাইরে বেরোচ্ছেন নিয়মিত, সেক্ষেত্রে স্প্রে ব্যবহার করলে খানিকটা সুবিধা মিলবে ।

৩) পানি নোংরা হোক বা পরিষ্কার কিছুতেই জমে থাকতে দেবেন না। পানির বালতি ঢেকে রাখুন। বাড়ির চারপাশে যেন কোনোভাবেই পানি না জমতে পারে সেদিকে কড়া নজর রাখুন।

 

৪) বাড়ির কাছে প্রচুর জমা পানি, নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হলে স্থানীয় পৌরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

৫) ঘরের জানালা, ভেন্টিলেটর অথবা বাড়ির যেসব অংশ দিয়ে মশা ঢোকার আশঙ্কা প্রবল, সেই জায়গাগুলোতে জাল ব্যবহার করতে পারেন।

 

৬) একান্তই কোনও বাড়ি তৈরির পরিস্থিতি এলে ওই জায়গার চারপাশে নিয়মিত কীটনাশক ও মশা মারার স্প্রে দিন।

৭) ব্লিচিং, কীটনাশক বা তেলে ছড়ান বাড়ির চারপাশে। তবে তার চেয়েও বেশি জোর দিন আগাছা পরিষ্কারে।

 

৮) পরিত্যক্ত গাড়িতেও বর্ষার পানি জমে ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নজর দিতে হবে সেদিকেও। আবাসনে পানি যাতে না জমে, নজর রাখতে হবে সেদিকেও। খুব গভীর জলাশয়ে ডেঙ্গুর মশা ডিম পাড়ে না। কিন্তু ২ সেন্টিমিটারের মতো পানি থাকলে তাতেই লার্ভা জন্ম নিতে পারে। তাই কোনও খোলা পাত্রে কখনওই পানি জমিয়ে রাখবেন না।

 

৯) ব্লিচিং পাউডার জীবাণুমুক্ত করলেও লার্ভা মরে না এতে। তাই অ্যান্টি-লার্ভাল স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। যাতে লার্ভাগুলো মরে যায়। সেদিকে নজর রেখে স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।

 

১০) চার দিনের পরেও জ্বর, শ্বাসের সমস্যা, বমিভাব বা পেটে ব্যথা থাকলে টেস্ট অবশ্যই করাতে হবে। র‌্যাপিড টেস্টের মাধ্যমে এন-এস১ রক্ত পরীক্ষা করতে হবে দ্রুত। ডাক্তাররা বলছেন, জ্বর দেখে যেহেতু ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, করোনা কিছুই বোঝা যায় না। তাই ব্লাড কাউন্টসহ প্রথমেই প্রাথমিক রক্ত পরীক্ষা। অর্থাত্‍ ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া টেস্ট করতে হবে।