ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮৮৩

ঢাকার যে ৫৭ এলাকায় ওয়াসার পানি বেশি দূষিত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:১৯ ১৬ মে ২০১৯  

ঢাকার ৫৭টি এলাকায় ওয়াসার সরবরাহকৃত পানি বেশি দূষিত বলে আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ প্রতিবেদন জমা দেন তারা।

মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, ওয়াসার দেয়া প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে ঢাকার ১০টি জোনে ৫৭ এলাকায় পানি বেশি দূষিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

১ নম্বর জোনে রয়েছে যাত্রাবাড়ী, বাসাবো, মুগদা, রাজারবাগ, কুসুমবাগ, জুরাইন, মানিকগর, মান্ডা, ধোলাইপাড় ও মাতুয়াইল; ২ নম্বর জোনে রয়েছে বাঘলপুর, লালবাগ, বকসি বাজার ও শহীদনগর; ৩ নম্বর জোনে জিগাতলা, ধানমন্ডি, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, ভুতের গলি ও মোহাম্মদপুর; ৪ নম্বর জোনে  শেওরাপাড়া, পীরেরবাগ, মনিপুর, পাইকপাড়া, কাজীপাড়া ও মিরপুর; ৫ নম্বর জোনে মহাখালী ও তেজগাঁও; ৬ নম্বর জোনে সিদ্ধেশ্বরী শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, মগবাজার, নয়াতোলা, রামপুরা, মালিবাগ ও পরীবাগ; ৭ নম্বর জোনে কদমতলী, ধনিয়া, শ্যামপুর, রসুলবাগ মেরাজনগর, পাটেরবাগ, শনির আখড়া, কোনাপাড়া ও মুসলিম নগর; ৮ নম্বর জোনে বাড্ডা, আফতাব নগর; ৯ নম্বর জোনে উত্তরা, খিলক্ষেত, ফায়েদাবাদ, মোল্লার টেক ও রানা গোলা এবং ১০ নম্বর জোনে কাফরুল, কাজীপাড়া, মিরপুর, কচুক্ষেত ও পল্লবী।

গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাজধানীর ওয়াসার পানির ১০৬৫টি নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করতে ৭৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা দরকার। প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তরফে ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু হাইকোর্টে দাখিল করবেন বলে জানানো হয়।

এর আগে গেল সোমবার ঢাকা ওয়াসার কোনো কোনো এলাকার পানি সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ, তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষায় যে অর্থ খরচ হবে, তা নির্ধারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে বুধবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন আদালত।

সোমবারই ঢাকা ওয়াসার অনিরাপদ পানি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষায় প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তখন আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা ওয়াসার ১১টি পানির জোন রয়েছে। প্রত্যেকটি থেকে দুই বোতল পানি নিয়েই তো পরীক্ষা করা যায়। কিন্তু কোনো কথাই শুনছে না স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তারা (স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়) হাইকোর্টকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছে।

শুনানিকালে আদালতে রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদের কাছে অনিরাপদ পানি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বেশ কিছু প্রতিবেদন আদালতের কাছে তুলে ধরেন তিনি। ওই সব প্রতিবেদনে ঢাকার ১৬টি এলাকার ওয়াসার পানি ব্যবহারের একেবারে অনুপযোগী বলে তথ্য উঠে আসে।

এরপর পানি পরীক্ষায় যে অর্থ খরচ হবে, তা প্রতিবেদন আকারে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তখন ওয়াসার তরফে খরচ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলে সাত দিন সময় চাওয়া হয়। কিন্তু এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বুধবারের (১৫ মে) মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত বলেন, বুধবারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল না করলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে তলব করা হবে।