ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩১৩

তালমিছরিতে এত পুষ্টি?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:৩৮ ১০ অক্টোবর ২০২২  

আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা ঠাণ্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়৷ এতে অভিভাবকদের চিন্তার শেষ থাকে না। কারণ শিশু খাওয়া থেকে শুরু করে ঘুম, সব কিছু বন্ধ করে দেয়। এক্ষেত্রে তালমিছরি ভীষণ উপকারী।

 

এটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি একধরনের চিনিজাতীয় খাবার। এতে থাকে তালের রস। সেটি জ্বাল দিয়ে তৈরি করতে হয়। পরে সেটিকে ট্রে বা কোনো পাত্রে ঢালা হয়।

 

তালমিছরির পুষ্টিগুণ নিয়ে পুষ্টিবিদরা বলেন, এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যাসেনশিয়াল ভিটামিন, মিনারেলস, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, জিংক, ফসফরাস ও অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এটি সহজলভ্য উপাদান। তালমিছরিতে ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যায়। যারা নিরামিষ জাতীয় খাবার খান, তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী।

 

তালমিছরির উপকারিতা

# যাদের অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা রয়েছে, তাদের জন্য তালমিছরি খুবই উপকারী। কারণ, এতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে। বিশেষ করে নারীদের জন্য এটি খুব উপকারী। আয়রন রক্তের লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

 

# বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন: হাড় ক্ষয় হওয়া, হাঁটুতে ব্যথা ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে তালমিছরি খুবই উপকারী। কারণ, এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে। ফলে এটি হাড় ও দাঁত শক্ত করে তোলে ও হাড়ের নানা সমস্যা দূর করে।

 

# মেনোপজের পর নারীদের হাড় ক্ষয় হয়। সেটা রোধ করতে নিয়মিত তালমিছরি খাওয়া উচিত।

# শিশুদের হাড় ও দাঁতের গঠন ঠিক রাখতে তালমিছরি খাওয়া দরকার। এতে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়।

 

# সর্দি ও কাশি দূরে রাখে তালমিছরি। এর রস কাশি উপশম এবং গলার শ্লেষ্মা নরম করে। ফলে খুসখুসে কাশির সম্ভাবনা কমে যায়। এক টুকরো তালমিছরি মুখে নিয়ে রাখলে সর্দি ও কাশিতে অনেক আরামও পাওয়া যায়।

 

# দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ও কিডনির পাথর রোধে সহায়তা করে তালমিছরি। কিডনি সুরক্ষিত রাখতে ও দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে প্রতিদিন খাদ্যতালিকাতে তা রাখা যায়।

 

# তালমিছরি হজমে সাহায্য করে এবং আমাশয় নিরাময়ে সহায়ক। এছাড়া মুখের আলসার বা ঘা রোধ করে এটি। এতে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।

 

# অনেকেরই সাইনাসজনিত মাথাব্যথার সমস্যা থাকে। আদার রসের সঙ্গে তালমিছরি মিশিয়ে খেলে সাইনাসজনিত মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।