ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৪৭২

‘দাতা ভিক্ষুক’ নাজিম উদ্দিন এখন পাকা বাড়ির মালিক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:৪৮ ১৬ আগস্ট ২০২০  

করোনা তহবিলে ভিক্ষা করে জমানো অর্থ দান করে আলোচিত হয়েছিলেন শেরপুরের দাতা ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিন। তার এমন মহানুভবতায় মুগ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাজিমদ্দিনকে জমিসহ পাকা বাড়ি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এপ্রিলের এঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় শেরপুর জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসন খাস জমি বন্দোবস্তসহ সেই পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছেন।  রবিবার নতুন ঘরের চাবি নাজিম উদ্দিনের নিকট হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে দারুণ উচ্ছাসিত নাজিমুদ্দিন ও তার পরিবার। তারা  কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামন করেন। সেইসাথে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি দেখা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে কর্মহীন মানুষের সহায়তায় গঠিত ইউএনওর ত্রাণ তহবিলে ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে আলোচনায় আসেন নাজিম উদ্দিন। নিজের ভাঙা ঘর মেরামতের জন্য ভিক্ষা করে দুই বছর ধরে জমিয়েছিলেন টাকাগুলো।  এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহের এঘটনাটি নজর কেড়েছিলো প্রধানমন্ত্রীর। দরিদ্র হলেও মহান এই দাতা ভিক্ষুককে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সরকারি জমিতে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই বাড়িটিই রোববার জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব নাজিম উদ্দিনের নিকট হস্তান্তর করেন।

তিন কক্ষের বিশাল পাকা বাড়ি। উপরে টিনের চাল। সাথে পাকা রান্নাঘর এবং আলাদা পাকা বাথরুম। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তার বাড়িতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছেন।  একটি পরিপাটি আবাসস্থল প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে উপহার পেয়েছেন নাজিমউদ্দিন।  ১৫ শতক খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। বাড়ির পাশেই গান্ধীগাঁও বাজারে পাকা দোকান করে দেওয়া হয়েছে, যাতে নাজিম উদ্দিনকে আর ভিক্ষাবৃত্তি করতে না হয়। সেই দোকান ঘরটি হস্তান্তর করা হয়। নাজিম উদ্দিনের ঘটনাটি দেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তার জন্য সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

জীবনের গল্প বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর