ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৬৪

দুই বছর যুদ্ধের পরও কমেনি ইউক্রেনের ট্যাংক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:৩৩ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহযোগিতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ৩১টি এম-১ আব্রামস ট্যাংক ইউক্রেন পৌঁছায় গত বছরের মাঝামাঝিতে। এর চার মাস পর ৬৮ টনের ট্যাংগুলো রণক্ষেত্রের সম্মুখভাগের পেছনে কোথাও ছিল। এগুলোতে রয়েছে ১২০ মিলিমিটার কামান, দিনে ও রাতে দেখার অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, জটিল বর্ম ও শক্তিশালী ইঞ্জিন।

 

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডাররা পুরনো চার আসনের এম-১এ১এসএ ট্যাংকগুলো লড়াইয়ে মোতায়েন করবেন তা এখনও জানা যায়নি। তবে কোন ইউক্রেনীয় ব্রিগেডের কাছে এগুলো রয়েছে তা জানা গেছে।

 

জানা গেছে, রাশিয়ার সর্বাত্মক আক্রমণের পর দুই বছর পার হলেও তাদের ট্যাংকের সংখ্যা প্রায় যুদ্ধের পূর্বের যা ছিল তা রয়েছে, প্রায় এক হাজার। মূলত বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে এম-১ ট্যাংক সরবরাহ করায় তাদের সংখ্যা কমেনি।

 

লন্ডনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের এক প্রতিবেদন অনুসারে, সামগ্রিকভাবে আমাদের পর্যালোচনায়, দুই বছর ধরে সর্বাত্মক যুদ্ধের পরও ইউক্রেনের মূল যুদ্ধের ট্যাংকের সংখ্যা যুদ্ধ-পূর্ব সময়ের প্রায় সমান রয়েছে।

 

কিন্তু এখানে একটি ফাঁক রয়েছে। ২০২২ সালের পর ইউক্রেনের পদাতিক বাহিনীর সেনাদের সংখ্যা দ্বিগুণ রয়েছে। এখন প্রায় কয়েক শ’ সেনা, বিমান, মেরিন, টেরিটোরিয়াল ও ন্যাশনাল গার্ডের ব্রিগেড রয়েছে। প্রতিটিতে অন্তত ২ হাজার সেনা ও একাধিক সামরিক যান থাকার কথা।

 

ওরিক্স-এর পর্যালোচনা অনুসারে, যুদ্ধে ৭০০ ট্যাংক হারানোর পরও ইউক্রেনের মজুত প্রায় আগের মতোই রয়েছে। তবে ২০২২ সালের তুলনায় এখন তাদের ট্যাংকের সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। যদি প্রতিটি ব্রিগেডে একটি ৩১ ট্যাংকের একক ব্যাটালিয়ন থাকে, তাহলে ইউক্রেনের প্রয়োজন হবে তিন হাজারের বেশি ট্যাংক।

 

দেশটির কাছে ৩ হাজার ট্যাংক নেই। যুদ্ধ-পূর্ব ১ হাজার থেকে ৭০০ ট্যাংক হারানো, পরে রাশিয়ার সেনাদের কাছ থেকে ৫০০ ট্যাংক জব্দ করা, সোভিয়েত আমলের কয়েক শ’ ট্যাংক মেরামত করা এবং মিত্রদের কাছ থেকে প্রায় ৬০০ ট্যাংক পাওয়ার কারণে ইউক্রেনের হাতে হয়ত প্রায় ২ হাজার ট্যাংক রয়েছে।

 

লড়াইয়ে নিয়মিত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ট্যাংকের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক ধরে নিলে ইউক্রেনের হাতে থাকা মোট ট্যাংকের সংখ্যা এক হাজারের কাছাকাছি দাঁড়ায়। এই সংখ্যক ট্যাংক ৩০টি ব্যাটালিয়নের জন্য যথেষ্ট।  ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মতে, রণক্ষেত্রে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ফলে সরঞ্জাম সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে কিছু ইউনিট তাদের পূর্ণাঙ্গ শক্তি নিয়ে লড়াই করতে পারছে না।

 

যুদ্ধ যখন তৃতীয় বছরে গড়াচ্ছে তখন ইউক্রেনের আরও ট্যাংকের প্রয়োজন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা শিল্প খুব দ্রুত দেশে নতুন ট্যাংক নির্মাণ করতে সক্ষম হচ্ছে না। ফলে শুধু মিত্র দেশগুলো তাদের এই ঘাটতি পূরণ করতে পারে।কিন্তু গত প্রায় দুই মাসে কোনও নতুন সামরিক যান সরবরাহ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

 

ইউক্রেনের জন্য ৬০ বিলিয়ন ডলারের সহযোগিতা বিল রিপাবলিকানরা আটকে দেওয়ার পর থেকে কোনও ট্যাংক পায়নি কিয়েভ। ফলে রণক্ষেত্রে পেছনের দিকে অবস্থান নেওয়া ৩১এম-১ ট্যাংকগুলোই হয়ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া একমাত্র ট্রেন।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর