এই শীতে ঘুরে আসুন
দুটি পাতা একটি কুঁড়ির সৌন্দর্যে মোড়া সিলেট
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১২:৩২ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯
দুটি পাতা একটি কুঁড়ির সৌন্দর্যে মোড়া পাহাড়বেষ্টিত সিলেট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলা নিকেতন বলা যায়। সিলেটের প্রতি ভ্রমণপ্রেমীদের রয়েছে এক চিরন্তন আকর্ষণ। সব ধরনের পর্যটকদের জন্য আগ্রহের জায়গা। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি পাহাড়ি এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য অনন্তকাল ধরে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সিলেটের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে নাম দিয়েছেন ‘সুন্দরী শ্রী ভ‚মি শ্রীহট্ট’ (শ্রীহট্ট, সিলেটের প্রাচীন নাম)।
সিলেটের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের ধারা আজো বহমান। সিলেট বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি সমৃদ্ধশালী প্রাচীন গুরুত্বপূর্ণ জনপদ।
এখানে যেমন রয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ, তেমনি আছে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক আর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ সংমিশ্রণ। সুরমা, কুশিয়ারা, মনু সারি ধলাই, খোয়াই নদীর কোলঘেঁষে অসংখ্য ছোট-বড় টিলা, পাহাড়, চা বাগান, হাওর, বিল, দিগন্তছোঁয়া মাঠ, দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ সিলেট যে কোনো দর্শনার্থীর মন জয় করে নেয় সহজে। বিধাতা অকৃপণভাবে সাজিয়েছেন প্রকৃতিকন্যা সিলেটকে। বৃহত্তর সিলেটে ছড়িয়ে আছে অনেক দর্শনীয় স্থান। উঁচু-নিচু পাহাড়ঘেরা সিলেটের ঢেউ খেলানো চা-বাগান নিমেষেই পর্যটকের মন কেড়ে নেয়।
দেখার মতো অনেক স্থাপনাও রয়েছে সিলেট নগরেই। তার মধ্যে অন্যতম - ক্বিন ব্রিজ, আলী আমজাদের ঘড়ি, চাঁদনিঘাটের সিঁড়ি, হজরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.) - সহ ওলি-আউলিয়াদের মাজার, খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান, আবঙ্গির পাহাড় (ইবনে বতুতার টিলা), শাহী ঈদগাহ, গৌড় গোবিন্দের টিলা প্রভৃতি।
জাফলং, লালাখাল, শ্রীপুর, জৈন্তাপুর, রাতারগুল, জকিগঞ্জে তিন নদী সুরমা-কুশিয়ারা-বরাক মোহনা, জৈন্তিয়া রাজবাড়ী, বিছানাকান্দি ছাড়াও দেখার মতো অনেক কিছুই রয়েছে এখানে। সিলেটের অনিন্দ্য সুন্দর পর্যটন স্পটগুলোতে। জৈন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য, জাফলংয়ের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, রাতারগুলের জলারবন, পানতুমাইয়ের ঝরুধারা, বিছানাকান্দির স্বচ্ছ জলের হাতছানি, লোভাছড়ার মনমাতানো সৌন্দর্য আর সারি সারি পাথরের স্তূপ পর্যটকদের টেনে আনে বারবার।
একমাত্র জলারবন রাতারগুল:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র জলারবন (সোয়াম্প ফরেস্ট) রাতারগুল। চারদিকে নদী ও হাওরবেষ্টিত এ বনের বেশিরভাগ এলাকাজুড়ে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা হিজল-করচ গাছ। ৪ ফুট পানির মধ্যে ভাসা এই জলারবন দেখলে যে কারো ভালো লাগার কথা। ‘সিলেটের সুন্দরবন’ খ্যাত প্রায় ৩৩১ একর আয়তনের রাতারগুল বনে বর্ষাকালে পর্যটকদের ভিড় ব্যাপকভাবে লক্ষ করা যায়।
যেভাবে যাবেন :
সিলেট থেকে রাতারগুলের দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। শহর থেকে সরাসরি কোনো যানবাহন নেই। তবে শহর থেকে সিএনজি অটোরিকশা কিংবা মাইক্রোবাস নিয়ে যেতে পারেন সেখানে। ভাড়া পড়বে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
হযরত শাহজালাল (র.) মাজার :
হযরত শাহজালাল(র.) ছিলেন উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত দরবেশ ও পীর। সিলেট অঞ্চলে তার মাধ্যমেই ইসলামের প্রসার ঘটে। সিলেটের প্রথম মুসলমান শেখ বুরহান উদ্দিনের ওপর রাজা গৌর গোবিন্দের অত্যাচার এবং এর প্রেক্ষিতে হযরত শাহজালাল (র.) ও তাঁর সফরসঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার সিলেট আগমন ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এ কারণে সিলেটকে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়। কেউ কেউ সিলেটকে পূণ্যভূমি হিসেবে অভিহিত করেন।
যেভাবে যাবেন :
সিলেট রেলস্টেশন অথবা কদমতলী বাসস্ট্যান্ড এ নেমে রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশা যোগে মাজারে যাওয়া যায়। রিকশা ভাড়া ২০-২৫ টাকা, সিএনজি অটো ভাড়া ৮০-১০০ টাকা। সুরমা নদী পার হয়ে মূল শহরে এসে মাজার এ পৌঁছতে হয়। মাজার গেটের রোডে অনেকগুলো আবাসিক হোটেল রয়েছে।
শাহ পরাণের মাজার :
শাহ পরাণের মাজার সিলেট শহরের একটি পুণ্যতীর্থ বা আধ্যাত্মিক স্থাপনা। যা হচ্ছে ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে মধ্যপ্রাচ্য হতে বাংলাদেশে আসা ইসলাম ধর্ম প্রচারক শাহ জালালের অন্যতম সঙ্গী অনুসারী শাহ পরাণের সমাধি।এটি সিলেট শহরের পূর্ব দিকে খাদিম নগর এলাকায় অবস্থিত।
শাহ জালালের দরগাহ থেকে প্রায় ৮ কি.মি. দূরত্বে শাহ পরাণের মাজার অবস্থিত। শাহ জালালের দরগাহর মতো এ মাজারেও প্রচুর দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। ঐতিহাসিক মুমিনুল হকসহ অনেকেই লিখেছেন - সিলেট বিভাগ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকায় শাহ পরাণের দ্বারা মুসলিম ধর্ম বিশ্বাস ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার হয়েছে।
বিছানাকান্দি:
ওপারে ভারত আর এপারে বাংলাদেশের বিছনাকান্দি। ভারত থেকে প্রবল বেগে শীতল জলস্রোত ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে, মিশে যাচ্ছে বিছনাকান্দির রূপবতী নদীতে। স্রোতেরা বয়ে যাচ্ছে ছোট-বড় অসংখ্য পাথর পেরিয়ে। সেই পাথরে মাথা রেখে শীতল জলে গা ডুবিয়ে-ভাসিয়ে শুয়ে থাকছে মানুষ, ভাসিয়ে দিচ্ছে যাপিত জীবনের চিরায়ত ক্লান্তি - এটি বিছনাকান্দির এক নৈমিত্তিক দৃশ্য।
কোথা থেকে এই স্বচ্ছ শীতল জলের উৎপত্তি, তা দেখার উপায় নেই মোটেই। ওপাশেই যে ভারত, সীমারেখায় বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা ভিন্ন জনপদ! তাই অনেকটা স্বাধীন আর অনেকটা সীমাবদ্ধ অবস্থানে থেকে গিলে খেতে হয় বিছানাকান্দির অপার সৌন্দর্যকে। পাথুরে জলে নিজেকে সঁপে দেয়া আপনাকে দেবে এক ভিন্ন প্রশান্তি, নিয়ে যাবে এক অপার্থিব জগতে। মেঘলা দিনে বিছানাকান্দি গেলে দেখা পেতে পারেন পাহাড়ের গায়ে ভেসে থাকা মেঘমালা।
সুন্দরের ছড়িয়ে থাকাটা অবশ্য বিছানাকান্দির পথে পথে। সড়কপথের দু’পাশে চা বাগান, নদী, অবারিত সবুজ মাঠ আর ছোটখাটো বনাঞ্চল দৃষ্টিকে দেবে অন্যরকম সুখ। সড়কপথ ফুরিয়ে যখন নৌকায় চাপবেন, তারপরই মনে হবে - ‘একি! ঘরের দুয়ারে এমন জায়গাও আছে !!’
সরু নদীর দুপাশে পাথরের সাম্রাজ্য আর সবুজের গালিচা পেছনে রেখে যতোই সামনে এগোবেন, ততোই আপনার চোখের সামনে উন্মুক্ত হতে থাকবে ওপারের বিশাল সব মেঘে ঢাকা পাহাড়, যেন কোনো শিল্পীর আঁকা বিশাল ক্যানভাস কেউ বসিয়ে দিয়েছে যতœ করে! এভাবেই মুগ্ধ বিস্ময়ের ঘোর না কাটতেই নৌকা আপনাকে নামিয়ে দেবে বিছানাকান্দিও শেষ অথচ কাক্সিক্ষত সেই সুন্দরের কেন্দ্রে। ইচ্ছে হলেই পাথুরে জল ভেঙে ছুটে যেতে পারেন সে সুন্দরের দিকে আর নিজেকে ভাসিয়ে দিতে পারেন আপাদমস্তক, তবে ইচ্ছে হলেই ফিরতে পারবেন না হয়তো! নৌকা করে হাদারপাড় থেকে বিছানাকান্দি যেতে পড়বে এমন সুন্দর খাল যাদের এখনো দুই পা ফেলে দেখা হয়নি মায়াময় বিছানাকান্দি, তারা এই না ফেরার ঝুঁকিটা নিয়েই ফেলুন !
যেভাবে যাবেন :
সিলেট থেকে বিমানবন্দর সড়ক ধরে তারপর সালুটিকর মোড় ঘুরে সব মিলিয়ে দেড় ঘণ্টার পথ পাড়ি দিলেই বিছানাকান্দি চলে যাওয়া যায়। সালুটিকর থেকে সরু সড়কপথে প্রায় বিশ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে হাদারপাড়া বাজারে থেমে যায় গাড়ি। বাকিপথ হেঁটে অথবা নৌকায় যেতে হয়। এই পথ মাত্র দুই কিলোমিটার। এর পরেই পাথুরে পথ মাড়িয়ে যেতে হয় বিছানাকান্দি। ভাড়া সিএনজি অটোরিকশায় চারশ’ থেকে সাতশ’ টাকা।
জাফলং :
সুদৃশ্য পাহাড় চূড়া, স্বচ্ছ জলরাশি আর নানা রঙের নুড়ি পাথরের এক অপূর্ব সমন্বয় সিলেটের জাফলং। নগর সভ্যতার যান্ত্রিক কোলাহল ছেড়ে জীবন এখানে এসে মাথা লুকোয় একটু শান্তির খোঁজে। প্রকৃতির মায়াবী পরশে আনন্দে নেচে ওঠে মন। তাই যে কোনো ছুটিকে পরিপূর্ণ করে তুলতে যে কেউ আসতে পারেন পাহাড়, পানি ও পাথরভরা রূপকথার রাজ্য জাফলংয়ে।
প্রকৃতি কন্যা হিসেবে সারা দেশে এক নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং। খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জাফলং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি। পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়।
সীমান্তের ওপারে ভারতীয় পাহাড়-টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরাম ধারায় প্রবাহমান জলপ্রপাত, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হিমেল পানি, উঁচু পাহাড়ের গহীন অরণ্য ও প্রকৃতির শুনশান নীরবতা পর্যটকদের দারুণভাবে মোহবিষ্ট করে। তাই যান্ত্রিক সভ্যতার সকল ব্যস্ততা ভুলে গিয়ে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও প্রকৃতির কাছে নিজেকে সঁপে দিতে প্রতিদিনই দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক ছুটে আসেন প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ে। প্রকৃতি কন্যা ছাড়াও বিউটি স্পট, পিকনিক স্পট, সৌন্দর্যের রাণীসহ বাহারি নামে পর্যটকদের কাছে পরিচিত জাফলং। ভ্রমণপিয়াসীদের কাছে জাফলংয়ের আকর্ষণ যেন সম্পূর্ণ আলাদা। তাই সিলেট ভ্রমণে এলে জাফলং না গেলে ভ্রমণই যেন অপূর্ণ থেকে যায়।
যেভাবে যাবেন :
সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল (কদমতলি) থেকে বাস / মাইক্রোবাস / অথবা ধোপা দিঘিরপাড় ওসমানী শিশু উদ্যানের সামনে থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা / হিউম্যান হলারে (লেগুনা) যেতে পারেন জাফলং। সময় লাগবে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা। ভাড়া ৬০ টাকা। মাইক্রোবাসে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা। সিএনজি অটোরিকশায় ১০০০ টাকা।
যেখানে থাকবেন :
জাফলংয়ে থাকার তেমন সুব্যবস্থা নেই। উল্লেখ করার মধ্যে রয়েছে - নলজুরী এলাকায় জেলা পরিষদের সরকারি রেস্টহাউস (পূর্ব অনুমতি নিতে হবে), শ্রীপুর পিকনিক স্পট, শ্রীপুর বাংলো। এছাড়া জাফলংয়ে থাকার জন্য ব্যক্তিমালিকানাধীন সাধারণ মানের স্থানীয় কয়েকটি হোটেল রয়েছে। তবে সিলেট শহরে এসে থাকা যাবে ভালোমানের হোটেলে।
লালাখাল :
জাফলং যাওয়ার পথে জৈস্তাপুর উপজেলার সারিঘাটের কাছেই অবস্থিত লালাখাল। নির্জন মনকাড়া লালাখালের স্বচ্ছ নীল জলরাশি আর দুই ধারের অপরূপ সৌন্দর্য, দীর্ঘ নৌপথ ভ্রমণের সাধ যেকোনো পর্যটকের কাছে এক দুর্লভ আকর্ষণ। ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচে লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি থেকে এ নদী বাংলাদেশে প্রবাহিত।
যেভাবে যাবেন :
সিলেট শহর থেকে লালাখালের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। অনেকভাবেই যাওয়া যায়। শহর থেকে বাস, টেম্পো, মাইক্রোযোগে পৌঁছা যায়। এছাড়া সারিঘাট থেকে ভারতের চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন হওয়া সারি নদীর স্বচ্ছ নীল জলরাশির ওপর দিয়ে নৌকা অথবা স্পিডবোটে করেও যেতে পারেন লালাখাল।
পানতুমাই:
বাংলাদেশের কোলঘেঁষে প্রতিবেশী ভারতের মেঘালয়ের গহীন অরণ্যের কোলে বাংলাদেশ পানে নেমেছে অপরূপ এক ঝরনাধারা। সুউচ্চ পাহাড় থেকে নেমে আসছে জলরাশি। সফেদ জলধারা লেপ্টে আছে সবুজ পাহাড়ের গায়ে। দেখলে মনে হবে সবুজের বুকে কেউ হয়তো বিছিয়ে রেখেছে সাদা শাড়ি। ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা এই ঝরনাধারাটি স্থানীয়ভাবে মায়ামতি ও ফাটাছড়া ঝরনা হিসেবে পরিচিত। আর পর্যটকদের কাছে জলপ্রপাতটির পরিচিতি ‘পাংথুমাই ঝরনা’ নামে।
যেভাবে যাবেন :
সিলেট শহর থেকে পাংথুমাইয়ের দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। সিলেট শহর থেকে মাইক্রোবাস বা সিএনজি অটোরিকশাযোগে যাওয়া যাবে পাংথুমাইয়ে। শহরের আম্বরখানা থেকে অটোরিকশা নিয়ে সরাসরি যাওয়া যাবে পাংথুমাই।
এছাড়া নগরীর যেকোনো স্ট্যান্ড থেকে মাইক্রোবাস নিয়েও যাওয়া যাবে পাংথুমাইয়ে। নগরীর আম্বরখানা থেকে সালুটিকর বাজার, সালুটিকর বাজার থেকে গোয়াইনঘাট সড়ক দিয়ে গোয়াইনঘাট ডিগ্রি কলেজের পূর্বপাশের আহারকান্দি রাস্তা দিয়ে সোজা যাওয়া যাবে পাংথুমাই।
লোভাছড়া:
সীমান্তের বড় বড় পাহাড় ছুঁয়ে নেমেছে ঝরনা। চারদিকে সবুজবেষ্টিত চা বাগান, সারি সারি গাছ, পাহাড় আর বালুসমৃদ্ধ স্বচ্ছ পানির বহমান নদী। অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালে প্রাকৃতিক নৈসর্গের আরেক রূপ। নাম ‘লোভাছড়া’। সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলায় অবস্থিত মনোমুগ্ধকর অপূর্ব এই সৃষ্টি। প্রকৃতি যেখানে তার সৌন্দর্যের মোহ ছড়ায়! রাঙ্গামাটির মতোই একটি ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে এই লোভাছড়ায়। ব্রিজটি নির্মিত হয় ১৯২৫ সালের এপ্রিল মাসে।
যেভাবে যাবেন :
দেশের যেকোনে জায়গা থেকেই সিলেট এসে বাসে করে ৬০ টাকা দিয়ে যাওয়া যাবে কানাইঘাট। অথবা সিলেট থেকে সিএনজি রিজার্ভ করেও যাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ভাড়া নেবে ছয়শ’ টাকার মতো। কানাইঘাট থেকে নৌকা করে লোভাছড়ায় যেতে জনপ্রতি ভাড়া নেবে ৩০-৪০ টাকা করে।
মালনীছড়া চা বাগান:
ওপরে বড় বড় ছায়াবৃক্ষ। নিচে আধো আলো আধো ছায়ায় দুটি পাতা একটি কুঁড়ির সবুজ চাদর। যেন শৈল্পিক কারুকাজ। সিলেটের চা বাগানের এ প্রাকৃতিক দৃশ্য পর্যটকের মন ছুঁয়ে যায়। ১৫০০ একর জায়গার ওপর অবস্থিত উপমহাদেশের প্রথম চা বাগান মালনীছড়ায় পর্যটকদের কাছে আরেক বিস্ময়। সিলেটের চায়ের রঙ, স্বাদ এবং সুবাস অতুলনীয়। বর্তমানে বেসরকারি তত্তাবধানে চা বাগান পরিচালিত হয়ে আসছে।
চা বাগানের পাশাপাশি বর্তমানে এখানে কমলা ও রাবারের চাষ করা হয়। এই বাগানের পাশেই বিশ্বের অন্যতম সুন্দর স্টেডিয়াম। যেখানে ২০১৪ সালের টি-২০ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মালনীছড়া চা বাগান ছাড়াও সিলেটে লাক্কাতুরা চা বাগান, আলী বাহার চা বাগান, খাদিম আহমদ টি স্টেট, লালাখান টি স্টেট, বরজান টি স্টেট উল্লেখযোগ্য।
অবস্থান : মালনীছড়া এবং লাক্ষাতুড়া চা বাগান দুইটিই সিলেট শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। শহরের কেন্দ্রস্থল জিন্দাবাজার পয়েন্ট হতে গাড়িতে মাত্র ১৫ মিনিটের পথ।
যেভাবে যাবেন : মালনীছড়া এবং লাক্কাতুরা চা বাগান দুটোই সিলেট শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। শহরের কেন্দ্রস্থল জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে যেকোনো গাড়ি দিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটে যাওয়া যায় চা বাগান দু’টিতে।
কী কী দেখবেন : পা হাড়ের গায়ে চা বাগানের দৃশ্য, ছায়া বৃক্ষ, চা শ্রমিকদের আবাসস্থল, কমলার বাগান, রাবার বাগান, চা তৈরির প্রক্রিয়া।
কোথায় অবস্থান করবেন : সাধারণত চা বাগানে থাকার তেমন কোনো সুব্যবস্থা নেই। আপনাকে সিলেট শহরেই থাকতে হবে।
জাকারিয়া সিটি :
দেশে যারা ভ্রমণ করেন তাদের অনেকেই সিলেট ভ্রমণ করেন। সিলেট ভ্রমণে দু’টি মাজারসহ মূলত টার্গেট থাকে জাফলং আর মাধবকুন্ড দর্শনের। সিলেটে এসে যেখানে থাকবেন সেটাও যদি হয় দেখার মতো, সময় কাটানোর মতো। তাহলেতো মজাই আলাদা। তেমনই চমৎকার প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার সুযোগ করে দিয়েছে জাকারিয়া সিটি।
সিলেট শহর থেকে প্রায় ১১ কিমি দূরে জাফলং রোডে খাদিমনগরে ৩টি টিলার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এই সিটি। প্রায় ১৭ একরের এই হলিডে রিসোর্টে রয়েছে থ্রিস্টার মোটেল, শিশুপার্ক, অডিটোরিয়াম, মিনি চিড়িয়াখানা ইত্যাদি। প্যাকেজ ট্যুরে জাফলং, মাধবকুন্ড, শ্রীমঙ্গল, ছাতক, হাওর ও মাজারে ভ্রমণের ব্যবস্হা আছে। দিন প্রতিরুম ভাড়া বাবদ খরচ হবে ২৮৫০/- থেকে ১২৬০০/- টাকা।
মাত্র ৫০/- টাকা জনপ্রতি টিকেট কেটে আপনি পুরো এলাকা ঘুরে দেখতে পারেন। আর শিশুরা সাথে থাকলে তাদের আনন্দটা হবে সীমাহীন।
মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক :
সিলেটের মৌলভীবাজার জ়েলারবড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলিতে অবস্থিত। পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে অন্যতম বিখ্যাত এই স্থানটিতে বর্তমানে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের রেস্টহাউজ ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এই ইকোপার্কের অন্যতম আকর্ষণ হলো মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, পরিকুণ্ড জলপ্রপাত, শ্রী শ্রী মাধবেশ্বরের তীর্থস্থান এবং চা বাগান।
হাকালুকি হাওর :
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর।এর আয়তন ১৮,১১৫ হেক্টর, তারমধ্যে শুধুমাত্র বিলের আয়তন ৪,৪০০ হেক্টর। ভূতাত্ত্বিকভাবে এর অবস্থান উত্তরে ভারতেরমেঘালয় পাহাড় এবং পূর্বে ত্রিপুরা পাহাড়ের পাদদেশে। ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের কারণে উজানে প্রচুর পাহাড় থাকায় হাকালুকি হাওরে প্রায় প্রতি বছরই আকষ্মিক বন্যা হয়। এই হাওরে ৮০-৯০টি ছোট, বড় ও মাঝারি বিল রয়েছে। শীতকালে এসব বিলকে ঘিরে পাখিদের বিচরণে মুখর হয়ে উঠে গোটা এলাকা
সিলেটে দর্শনীয় স্থানের তালিকা :
১. জাফলং (জিরো পয়েন্ট, মারি নদী, চা বাগান, খাসীয়া পল্লী)
২. হযরত শাহজালাল (রা.) ও হযরত শাহ পরাণ (রা.) এর মাজার শরীফ
৩. জৈন্তাপূর (পুরনো রাজবাড়ী)
৪. মাধব কুন্ড ও পরীকুন্ড জলপ্রপাত
৫. শ্রীমঙ্গল (চা বাগান, লাওয়াছরা বন, মাধব পুর লেক)
৬. লালাখাল
৭. তামাবিল
৮. হাকালুকি হাওড়
৯. কীন ব্রিজ
১০. ভোলাগঞ্জ
১১. মহাপ্রভু শ্রী চৈত্যনো দেবের বাড়ি
১২. হাছন রাজা জাদুঘর
১৩. মালনী ছড়া চা বাগান
১৪. ড্রিমল্যান্ড পার্ক
১৫. আলী আমজাদের ঘড়ি
১৬. জিতু মিয়ার বাড়ি
১৭. মুনিপুরী রাজবাড়ি
১৮. মুনিপুরী মিউজিয়াম
১৯. শাহী ঈদগাহ
২০. ওসমানী শিশু পার্ক
২১. হামহাম জলপ্রপাত
২২. সাতছড়ি অভয়ারণ্য
২৩. রেমা উদ্যাণ
২৪. এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং
২৬. বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম এর বাড়ি
২৭. মির্জাপুর ইস্পাহানী চা বাগান
২৮. বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট
২৯. নীল কন্ঠ (৭ রংয়ের চা)
- বাংলাদেশসহ যে ১২৪ দেশে পা রাখলেই গ্রেপ্তার নেতানিয়াহু
- পরীমণির প্রথম স্বামীর মৃত্যু, কে এই ইসমাইল?
- ছেলের কাজের ঘোষণায় বাবা
- স্বাস্থ্য-বিষয়ক যেসব প্রচলিত তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই
- কুমিল্লায় ‘যুদ্ধসমাধিতে’ মিলল ২৩ জাপানি সেনার দেহাবশেষ
- রাহুলের বিতর্কিত আউট নিয়ে প্রশ্ন আর সমালোচনার ঝড়
- প্রথম মিলেনিয়াল সাধু হতে যাচ্ছেন প্রয়াত ‘গড’স ইনফ্লুয়েন্সার’
- বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
- মোহিনীর জন্যই কি সায়রাকে ছাড়লেন এ আর রহমান? মুখ খুললেন আইনজীবী
- কবে বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যাবে, জানালেন সাকিব
- ঘর আর অফিস ম্যানেজ করবেন যেভাবে
- দায়িত্ব নিলেন আইজিপি বাহারুল আলম ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী
- শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- রাজনৈতিক চাওয়া ও কূটনৈতিক চেষ্টা আ.লীগের জন্য কী অর্থ বহন করছে
- প্রথমবার সচিবালয়ে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা
- ডায়াবেটিস কেন হয়, কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?
- এ আর রহমানের বিচ্ছেদ, যা বললেন স্ত্রী ও সন্তান
- বিশ্বকাপ বাছাই: পয়েন্ট টেবিলে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ কোন দল কোথায়
- শীতের সকালে আদা ও তুলসী পাতা খেলে কী হয়?
- পর্তুগালকে রুখে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া, শেষ মুহূর্তে
- ফের প্রেমে পড়েছেন পরীমনি
- শেখ হাসিনা পালিয়েছেন জানার পর যে অনুভূতি হয়েছিল, জানালেন ড. ইউনূস
- আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
- সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম রিমান্ডে
- শেখ হাসিনার নতুন অডিও ফাঁস, নেতাকর্মীদের যে নির্দেশনা দিলেন
- প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে বিএনপি আশাহত: মির্জা ফখরুল
- মণিপুরে বিক্ষোভকারী নিহত: বিজেপি-কংগ্রেস অফিসে আগুন
- কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না : গভর্নর
- যুগান্তকারী উদ্ভাবন, ন্যানো রোবটে জব্দ হবে ক্যানসার!
- শাস্তির মুখে পড়তে পারেন মেসি, হতে পারেন নিষিদ্ধও
- প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করলে ঠোঁটের কি ক্ষতি হয়?
- পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ৩ মাস বিয়ে বন্ধ
- শেখ হাসিনার নতুন অডিও ফাঁস, নেতাকর্মীদের যে নির্দেশনা দিলেন
- শীতের সঙ্গে কুয়াশার তীব্রতা বাড়তে পারে
- আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চালু হচ্ছে
- শীতের সকালে আদা ও তুলসী পাতা খেলে কী হয়?
- শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপ, সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
- আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের ১২ ক্রিকেটার
- জুলাই-আগস্ট বিল্পবে সব হত্যার বিচার করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা
- রাজনৈতিক চাওয়া ও কূটনৈতিক চেষ্টা আ.লীগের জন্য কী অর্থ বহন করছে
- সালমান শাহর নায়িকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যে কারণে ফ্রিজ হলো
- অন্ধকারে ডুবে গেছে হাইফা নগরী
- পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজে কী আছে, জানা গেলো
- ‘মিস ইউনিভার্স’ হলেন ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া
- যুগান্তকারী উদ্ভাবন, ন্যানো রোবটে জব্দ হবে ক্যানসার!
- ‘ভয়াল’ দর্শনে শুধু বড়রা
- ফের প্রেমে পড়েছেন পরীমনি
- রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়লো
- প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে বিএনপি আশাহত: মির্জা ফখরুল
- বাংলাদেশে পাকিস্তানের জাহাজ ভারতের উদ্বেগ কেন?