ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮৩৫

দুধে গুড় মিশিয়ে পান করুন, হাতেনাতে ফল

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪২ ২২ জানুয়ারি ২০২১  

শীত মৌসুম এলেই সব আগে মনে পড়ে গুড়ের কথা। তা সেটি নলেন হোক বা পাটালি। কিন্তু এটি শুধু সুস্বাদু তা-ই নয়, বরং এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর নানা উপাদান, যা আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। চিনির তুলনায় গুড় সহজপাচ্য। এতে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ফসফরাসও থাকে। এছাড়া ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ও কপার বিদ্যমান। ব্রাউন সুগারের তুলনায় ৫ গুণ এবং চিনির তুলনায় ৫০ গুণ বেশি মিনারেলস থাকে গুড়ে। মধুর সমান এর পুষ্টিগুণ। 

 

অন্যদিকে দুধ হলো ক্যালসিয়ামের উৎস। এটি আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী। অফিস-কোর্ট কাছারি, স্কুল-কলেজে যাদের প্রতিদিন  যাতায়াত, সকাল সকাল এক গ্লাস দুধ দিয়েই তাদের দিন শুরু হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে। এক সপ্তাহ গরম দুধের সঙ্গে একটু গুড় মিশিয়ে পান করুন, হাতেনাতে ফল পাবেন। তাহলে জেনে নেওয়া যাক গরম দুধ এবং গুড়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-

 

নারীদের অধিক উপযোগী
গরম দুধ এবং গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। যদি প্রতিদিন এটি পান করা হয়, তাহলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে। তাই এই মিশ্রন রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে কার্যকর, যা গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে উপস্থিত সুক্রোজ শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়ায় এবং ক্লান্তি ও দুর্বলতা হ্রাস করে। সন্তান প্রসবের পর গুড় খেলে প্রসূতি নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পান। শরীরে মিনারেলের অভাব দূর করে গুড়। প্রসবের ৪০ দিনের মধ্যে শরীরের সব জমাট বাঁধা রক্ত স্বাভাবিক করে তোলে। এটি আয়রনের প্রধান উৎস। তাই অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য এটি উপকারী। বিশেষত নারীদের জন্য অধিক উপযোগী।

 

ত্বক সুন্দর করে
গুড় রক্তকে টক্সিন মুক্ত করে। ফলে ত্বকের নানা সমস্যা যেমন-পিম্পল ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এমনকি মুখের দাগ-ছোপও দূর হয়। গুড় ও দুধে অনেক পুষ্টি থাকে, যা আমাদের ত্বকে কোলাজেন গঠনে সহায়তা করে। যে  কারণে ত্বক নরম থাকে। গুড় ও দুধের অ্যামিনো অ্যাসিড স্কিনে ময়েশ্চারাইজেশনের স্তর বজায় রাখে। দুধে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আমাদের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। এতে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড এক্সফোলাইটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি এনজাইম তৈরি করে যা ত্বককে আরও সুন্দর করে তোলে।

 

হজমে উন্নতি করে
ক্লান্তি ও শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করলে গুড় এনার্জির সঞ্চার করে। এটি সহজপাচ্য হওয়ায় রক্তে শর্করার পরিমাণও বৃদ্ধি পায় না। তাই কোষ্টকাঠিন্য রোধে এর বিশেষ ভূমিকা আছে। সারাদিন কাজ করার পর ক্লান্তি অনুভব করলে গুড় খেতে পারেন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি সাহায্য করে। বিশেষত, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন তা খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে পানির সঙ্গে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। খাবার পর তা খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয় না।

 

ওজন কমায়
গুড়ে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম পাওয়া যায়, যা দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং দেহে পেশী গঠনে সহায়তা করে। ওজন হ্রাস করার চেষ্টা করার সময়, শরীরে পানির অভাব হতে পারে। এক্ষেত্রে গুড়ের মধ্যে উপস্থিত পটাসিয়াম দেহেরে পানির অভাব মেটাতে সহায়তা করে। ফলে গুড় ও দুধ ওজন কমাতে সহায়ক। সর্দি জমে গেলে এর পানীয় খেলে উপকার পাবেন।