ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪৫১

দুধ ও গুড় একসঙ্গে খান, পাবেন অবিশ্বাস্য ফল

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৪৮ ১৩ আগস্ট ২০২১  

তুলনামূলক চিনির থেকে গুড়ের উপকারিতা অনেক বেশি। গুড়ে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি রয়েছে ফসফরাস। সেই সঙ্গে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ও হালকা কপার। ব্রাউন সুগারের থেকে তুলনামূলকভাবে ৫ গুণ ও চিনির তুলনায় ৫০ গুণ বেশি মিনারেলস রয়েছে গুড়ে। এতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

 

গুড়ে থাকা মিনারেলসের পুষ্টিগুণ মধুর সমান। এদিকে দুধ হল ক্যালসিয়ামের উত্‍স। নিয়মিত দুধের সঙ্গে হালকা গুড় মিশিয়ে পান করলে সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই নিজেই এর ফল ভোগ করতে পারবেন। এবার তাহলে দুধ-গুড়ের মিশ্রণ খাওয়ার উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক-

 

মহিলাদের জন্য অধিক উপকারী: হালকা গরম দুধ ও গুড়ে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। নিয়মিত দুধ-গুড় খাওয়ার ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

 

এতে থাকা সুক্রোজ শরীরে শক্তির উত্‍স বৃদ্ধি করে এবং ক্লান্তি দূর করে। সন্তান প্রসবের পর গুড় খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পান গর্ভবতী মা। এমনকি শরীরে মিনারেলের অভাবকে দূর করে। প্রসবের ৪০ দিনের মধ্যে শরীরের জমাট বাঁধা রক্তকে স্বাভাবিক করে তোলে।

 

ত্বক সুন্দর ও তারুণ্যকে ধরে রাখতে: গুড় শরীরের রক্তকে টক্সিন মুক্ত করে এবং এতে করে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন পিম্পল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মুখে থাকা দাগও দূর হয়। গুড়-দুধে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে যা ত্বককে কোরাজের গঠনে সহায়ক করে। তাই ত্বক নরম থাকে। গুড় ও দুধে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড স্কিনে ময়েশ্চারাইজেশনের স্তর বজায় রাখে।

 

এ ছাড়া দুধে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বার্ধক্য প্রতিরোধ করে থাকে। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড এক্সফোলাইটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং এনজাইম ত্বককে আরও সুন্দর করে।

 

হজম শক্তি বৃদ্ধি

দুধ ও গুড় নিয়মিত পানের ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং শরীরে শক্তি সঞ্চার করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য দুধ-গুড়ের মিশ্রণটি খুবই উপকারী। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। এজন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানির সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেতে হয়। এতে গ্যাসের সমস্যাও দূর হয়।

 

অতিরিক্ত ওজন কমানো

অনেকেরই অনাকাঙ্খিতভাবে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে ছিমছাম রাখতে পারেন না। অনাকাঙ্ক্ষিত অতিরিক্ত ওজন কমাতে নিয়মিত গুড় খাওয়া যেতে পারে। গুড়ে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম রয়েছে। এ উপাদানটি দেহে ইলেক্ট্রোলাইটগুলোর ভারসাম্য বজায় রাখে এবং পেশী গঠনে সহায়তা করে। পাশাপাশি ওজন কমায়। অনেকের সর্দি জ্বর হয়ে থাকে। তারা হালকা গরম দুধ ও গুড় কয়েকদিন খাওয়ার ফলে দেখবেন সর্দি জ্বর আর নেই।