ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৫৫

দেশের সব জেলা নিপাহ ভাইরাসের ঝুঁকিতে: আইইডিসিআর

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:১৪ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

দেশের সব জেলা নিপাহ ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৮ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। আর আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৪ বছরের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি।

 

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা নিপাহ ভাইরাসের সতকর্তার ওপর জোর দিয়েছি। তাই কোথাও কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেটার খবর আমরা সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে ১০ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭ জন মারা গেছেন।

 

ডা. তাহমিনা বলেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কেউ যদি বেঁচেও থাকে তাহলে তাদের নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে আমরা যদি শুধু খেজুরের রস খাওয়াটা বন্ধ করে দিতে পারি তাহলে আর কোনো সমস্যা হবে না।

 

সতর্কতা অবলম্বন করে রস খাওয়া যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকেই বলে থাকেন আমরা সাবধানতা অবলম্বন করে রস সংগ্রহ করছি। এটা আসলে ভুল। আপনি যতই জাল দিয়ে ঢেকে রাখেন, এতে আক্রান্তের সম্ভাবনা থেকে যায়। কারণ শুধু রসে বাদুড় মুখ দিলেই নিপাহ ভাইরাস হয় না, বাদুড়ের ইউরিন (প্রস্রাব) থেকেও এ ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে থাকে। 

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের কোনো চিকিৎসা নেই। এটি একটি মারাত্মক ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ৭৫ শতাংশ। নিপাহ ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন নাই, কোনো ওষুধ নাই এবং কোনো চিকিৎসা নাই। কাজেই আমাদের সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।

 

তিনি বলেন, বাদুর খেজুর রস খায়, বিভিন্ন কাঁচা-পাকা ফলের ওপর বসে থাকে। মানুষ সেসব খেজুর রস ও ফল খেয়ে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশনের হাসপাতালে ২০ বেড এবং বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ৫ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। নিপাহ ভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে।