ঢাকা, ২৩ অক্টোবর বুধবার, ২০২৪ || ৭ কার্তিক ১৪৩১
good-food
৩৮২

দেশ দেশে ভালোবাসা দিবস উদ্‌যাপনের অদ্ভুত রীতি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৪৪ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা সংস্কৃতিতে এই দিবসটি উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। কিন্তু কিছু দেশে ভালোবাসা দিবস ভিন্নভাবে উদ্‌যাপন করা হয়। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন দেশ কীভাবে এই দিবসটি উদ্‌যাপন করে–

 

ব্রাজিল

ব্রাজিলে ১৪ ফেব্রুয়ারি ক্যাথলিকদের উৎসব থাকায় ভালোবাসা দিবস ১২ জুন উদ্‌যাপন করা হয়। এই উৎসবকে তার দিয়া ডস নামোরাডোস বলা হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রিয়জনকে গোলাপ, চকলেটসহ নানা উপহার দেওয়া হয়। এ ছাড়া নানা রোমান্টিক আয়োজনে মুখর থাকে দিনটি।

 

জাপান

জাপানে ভালোবাসা দিবসটি ভিন্ন আঙ্গিকে উদ্‌যাপন করা হয়। দিবসটিতে নারীরা তার সঙ্গীকে উপহার দেন। উপহারের ধরন দেখে বোঝা যায়, সেটি ভালোবাসার সম্পর্ক কি না। উপহার হিসেবে তারা চকলেট দিয়ে থাকেন। যদি কোনো নারী ‘গিরি-চকো’ নামের চকলেট কোনো পুরুষকে দেন, তাহলে সেটি ভালোবাসার সম্পর্ককে প্রকাশ করবে না। আবার যদি ‘হোনমেই-চকো’ নামের চকলেট দেন, তাহলে সেটি রোমান্টিক সম্পর্ককে ইঙ্গিত করবে।কিন্তু জাপানি পুরুষদের ভালোবাসা দিবসের প্রায় এক মাস পর অর্থাৎ ১২ মার্চ তাদের প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এই দিনটিকে তারা ‘হোয়াইট ডে’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।

 

স্লোভেনিয়া

স্লোভেনিয়ায় ভালোবাসা দিবস রোমান্টিকভাবে উদ্‌যাপন করা হয় না। এ দিনটিকে তারা কোনো কাজের সূচনা হিসেবে দেখে। দিনটিকে স্প্রিং ফেস্টিভালও বলা হয়। দেশটি ভালোবাসা দিবস ১২ মার্চ উদ্‌যাপন করে।

 

এস্তোনিয়া

এস্তোনিয়ায় ভালোবাসা দিবসের দর্শনই হলো বন্ধুত্ব। সেখানে সব ধরনের সম্পর্কের ভালোবাসাই দিবসটি উপলক্ষে গুরুত্ব পায়। সেটি পরিবার-পরিজনের ভালোবাসাও হতো পারে।

 

ঘানা

ঘানায় দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয় চকলেট ডে হিসেবে। দিবসটিতে চকলেটকে গুরুত্ব দেওয়ার কারণ হলো, দেশটিতে পর্যটকদের আকর্ষিত করা। দেশটি কোকো রফতানিতেও শীর্ষে রয়েছে।

 

ডেনমার্ক ও নরওয়ে

ডেনমার্ক ও নরওয়ে তাদের মতো করে দিবসটি উদ্‌যাপন করে থাকে। পুরুষেরা তাদের নারী সঙ্গীদের কাছে মজার বার্তা পাঠিয়ে থাকেন। প্রেরকের নামের যত অক্ষর আছে, ততগুলো ডট দিয়ে তারা একটি প্রতীকী বার্তা পাঠান। বার্তায় প্রেরকের নাম প্রকাশ করা হয় না। প্রাপককে নিজেই বুঝে নিতে হয় কে তাকে বার্তাটি পাঠিয়েছেন। অর্থাৎ, কে তাকে ভালোবাসেন।

 

সৌদি আরব

সৌদি আরবে পুরুষরাই নারীদের উপহার দিয়ে থাকেন। উপহার হিসেবে তারা পোষা প্রাণী, লাল গোলাপ, বেলুনসহ নানা মূল্যবান জিনিস দিয়ে থাকেন। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, সৌদিতে ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষে কোনো কিছু বিক্রি যেন না করা হয়, তা একসময় নজরদারি করত পুলিশ। কেউ বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হতো। এমনকি ১৪ ফেব্রুয়ারি মানুষজনকে লাল রঙের পোশাকও পরতে দেওয়া হতো না। কিন্তু সৌদি সমাজে এখন ব্যাপক সংস্কার এসেছে। আর এই সংস্কারকাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।