ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৭৪৬

ধানের দাম সামলাতে চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:১৭ ৩০ মে ২০১৯  

কৃষিমন্ত্রী . আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত রেখে চাল রপ্তানি করা হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ধানের কম বাজার মূল্যের বিষয়ে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সরকার ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত রেখেই এ চাল রপ্তানি করা হবে। পাশাপাশি আমাদের লক্ষ্য চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করা এবং চাল রপ্তানিকে উৎসাহিত করা।
তিনি বলেন, শ্রমিক সংকট নিরসনে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করা হবে। এতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হবে। ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বিগত অর্থবছরের রাজস্ব বাজেট বাবদ বরাদ্দকৃত ভর্তুকি খাতের হাজার কোটি টাকা যান্ত্রিকীকরণ খাতে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মোতাবেক খসড়া প্রকল্প প্রণয়নও করা হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চাহিদার অতিরিক্ত চাল আমদানি এর বড় অংশ মজুদ থাকা এবং এবার অতিরিক্ত উৎপাদনের কারণেই ধানের দাম কমেছে। ভবিষ্যতে ধানের ক্রয়মূল্য আগেই নির্ধারণ করা হবে। আগেই তালিকা তৈরি করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। লক্ষ্যে গুদামের ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হবে।

কৃষিমন্ত্রী জানান, ধানসহ কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে চাষিদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে ফসলের ক্রয়মূল্য অগ্রিম নির্ধারণ করা হবে। মৌসুমের শুরুতেই সরাসরি কৃষক পর্যায় থেকে ধান সংগ্রহসহ এমন বেশকিছু দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে।
এছাড়া ধানের ন্যায্যমূল্য দিতে দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় এবং চালের আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নন-ইউরিয়া সারসহ অন্যান্য উপকরণে প্রণোদনা বৃদ্ধি, সেচের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ব্যয় কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে প্রণোদনা আরও বৃদ্ধি করা হবে।