ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪১৮

পাওয়ার ব্যাঙ্ক কেনার আগে খুঁটিনাটি জেনে নিন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:১৪ ৫ অক্টোবর ২০২০  

স্মার্টফোনের বদৌলতে পুরো পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। কিন্তু বাড়ি বা অফিসের বাইরে থাকলে তা চার্জ করাটা বেশ মুশকিল। এক্ষেত্রে আসান হলো পাওয়ার ব্যাঙ্ক। তাই পছন্দসই মডেলের সেটি কেনার আগে কিছু পরামর্শ রইল- 

 

• নিজের প্রয়োজন অনুসারে পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনুন। সারাদিন একটি না একাধিক স্মার্টফোন চার্জ করবেন এবং কতবার করবেন-সেই অনুসারে তা পছন্দ করুন। দরকার হলে বেশি পাওয়ার ক্যাপাসিটির ব্যাঙ্ক কেনা যেতে পারে। কিন্তু সেটি ফুল চার্জ দিতে সময় লাগবে। তবে ধারণক্ষমতা বেশি হলে বেড়াতে যাওয়ার সময় কাজে লাগে। পাওয়ার ব্যাঙ্ক একবার ফুল চার্জ দিয়ে নিলে একাধিক ফোনে একাধিকবার চার্জ দেয়া যায়।

 

• যে কোম্পানির কিংবা মডেলেরই পাওয়ার ব্যাঙ্ক কিনুন, তাতে একসঙ্গে অন্তত দুটি বা ততোধিক বেশি স্মার্টফোন চার্জ দেয়ার সুযোগ রয়েছে কি না দেখুন। পাশাপাশি দেখা জরুরি, তাতে ব্যাটারির ‘স্টেটাস ইন্ডিকেটর’ রয়েছে কি না। তা থাকলে পকেটের পাওয়ার ব্যাঙ্কে ব্যাটারির চার্জ কতটা রয়েছে, সেটা সহজে দেখে নিতে পারবেন এবং সেই অনুসারে ব্যবহার করতে পারবেন।

 

• কিছু বিশেষ কোম্পানির পাওয়ার ব্যাঙ্ক রয়েছে, যেগুলো আকারে বেশ বড়। তাই বেশি ব্যাকআপ পাবেন-এমনটা ভেবে ভুল করবেন। বরং পাওয়ারের বিষয়টা পুরোপুরি নির্ভর করে ব্যাঙ্কের ভেতরে থাকা ব্যাটারির গুণগত মানের উপর। তাই এমন পাওয়ার ব্যাঙ্কই কিনুন, যেটি সহজে পকেটে ঢুকিয়ে নিতে পারবেন। প্রয়োজনে জনপ্রিয় কোনও সংস্থার পাওয়ার ব্যাঙ্কের খোঁজ করতে পারেন। এগুলো আকারে ছোট হলেও কার্যকারিতা অনেক।

 

• ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা রয়েছে-এমন পাওয়ার ব্যাঙ্ক কেনার চেষ্টা করুন। তবে এক্ষেত্রে টাকা একটু বেশি লাগতে পারে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে সেটি লাভজনক। পাওয়ার ব্যাঙ্ক চার্জ করার বিষয়টি যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। তাই ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধাযুক্ত ব্যাঙ্কটিতে যদি দ্রুত চার্জ করা যায়, ক্ষতি কী? 

 

• স্থানীয় কোনও কোম্পানির কিংবা কম দামের প্রলোভনে পাওয়ার ব্যাঙ্ক না কেনাই ভালো। চেষ্টা করুন, কোনও নামী ব্র্যান্ডের তা কেনার। এর কার্যকারিতা নির্ভর করে ব্যাটারির গুণগত মান এবং সার্কিটের উপরে। স্থানীয় সংস্থার তৈরি কিংবা কম দামের পাওয়ার ব্যাঙ্কের ওয়্যারিংয়ে অনেক সময় শর্ট-সার্কিটের অভিযোগ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সেটি পুরোপুরি বদলে ফেলা ছাড়া উপায় থাকবে না। অনলাইনে তো বটেই, ইলেকট্রনিক্সের দোকানে বিভিন্ন দামের পাওয়ার ব্যাঙ্ক পাওয়া যায়। ৬০০ টাকার কাছাকাছি দামের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড ব্র্যান্ডের তা পেয়ে যাবেন।

 

• যে পাওয়ার ব্যাঙ্কটি কিনছেন, সেটিতে লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি রয়েছে কি না দেখে নিন। সাধারণত ব্যাঙ্ক পুরোপুরি চার্জ হতে অনেক সময় লাগে। তাই অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সেটি চার্জে দেয়ার। এতে সকালে উঠে ব্যাঙ্কে ফুল চার্জ মেলে। তবে এক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কাও থাকে। বাজারে কিনতে পাওয়া যায়-এমন অনেক পাওয়ার ব্যাঙ্কেই ‘অটো-কাট’-এর প্রযুক্তি থাকে না। ফলে ব্যাঙ্কের ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হয়ে গেলেও চার্জিং চালু থাকে। এতে ব্যাটারি গরম হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বেশি গরম হয়ে ব্যাটারি ফেটেও গেছে। এসব ক্ষেত্রে গঠনগত কারণেই লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি অনেকটাই ‘সেফ’। আবার এ ধরনের ব্যাটারির পাওয়ার ব্যাকআপ দেয়ার ক্ষমতাও বেশি। তাই লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি এবং অটো-কাট প্রযুক্তি দেখেই পাওয়ার ব্যাঙ্ক পছন্দ করুন। যে কোম্পানির এবং মডেলের তা কিনবেন, পুরোপুরি চার্জ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন।

 

• অনেকের অভ্যাস রয়েছে, স্মার্টফোন হোক কিংবা পাওয়ার ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে হাতের কাছে যে কেব্ল মেলে, সেটি সংযোগ করে চার্জিংয়ে বসিয়ে দেয়া। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, কোন ধরনের কেব্ল দিয়ে চার্জ করছেন, সেটার উপরে ইলেকট্রনিক গ্যাজেটটি চার্জ হতে কত সময় নেবে, তা নির্ভর করে। তাই পাওয়ার ব্যাঙ্ক কেনার সময় যে চার্জিং কেব্লটি কোম্পানি থেকে দেয়া হয়েছে, সেটি দিয়েই চার্জ করুন। এতে দ্রুত ফুল-চার্জ করতে পারবেন।